সেতু না থাকায় ১০ গ্রামের মানুষ দুর্ভোগে

প্রকাশ : ১০ অক্টোবর ২০২৪, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  মোরেলগঞ্জ (বাগেরহাট) প্রতিনিধি

সুন্দরবনের উপকূলীয় বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জে মঠবাড়ী গ্রামের বড় খালের ব্রিজটি এক আর্গে ভেঙে গেলেও এখন পর্যন্ত হয়নি সংস্কার। ১০ গ্রামের মানুষের পারাপারে দুর্ভোগ এখন চরমে। শিক্ষার্থীসহ ৭ হাজার মানুষের চলাচলের একমাত্র ভরসা এ ভাঙা বিজ্র।

উপজেলার জিউধরা ইউনিয়নের মঠবাড়ী গ্রামের বড় খালের উপরে সংযোগ ব্রিজটি নদীর খরস্রোতের এক বছর পূর্বে ভেঙে পড়ায় পরবর্তীতে নতুন করে নির্মাণ করা হয়নি। যে কারণে প্রতিনিয়ত মঠবাড়ি, চন্দনতলা, একরামখালী, ঠাকুরনতলা, কালিবাড়ী, জিউধরা, লক্ষ্মীখালী, বটতলা, বরইতলা ১০ গ্রামের মানুষের ৬-৭ হাজার মানুষের চলাচলে পারাপারে অভাবনীয় দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।

খালের দু’পান্তে দুটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ১টি আলিম মাদ্রাসার শিশু শিক্ষার্থীসহ শত শত শিক্ষার্থী ঝুঁকি নিয়ে এ পুল পারাপার হতে গিয়ে বিপাকে পড়ছে প্রতিদিন। ঝড় বৃষ্টিতে স্কুলে যাওয়া বন্ধ হয়ে পড়েছে অনেক ছাত্রছাত্রীর। অভিভাবকরা তাদের ছেলেমেয়েদের স্কুলে পাঠিয়ে দুশ্চিন্তায় থাকতে হচ্ছে।

এ সেতু পার হয়ে প্রতিদিন ২/৩ হাজার মানুষ যাচ্ছেন একরামখালী বাজার, মঠবাড়ী সুশীলসমাজ বাজার, ইউনিয়ন পরিষদ, সাইক্লোন শেল্টার, দুটি মসজিদে মোরেলগঞ্জ উপজেলা শহরসহ ও পার্শ্ববর্তী মোংলা উপজেলার বিভিন্ন প্রান্তে। ভাঙা পুল পার হওয়া শিশু শিক্ষার্থী জান্নাতি, আবু জাহের, আব্দুল্লাহ, তামান্নাসহ অনেকেই বলেন, আমাদের স্কুলে যেতে এ ভাঙা পুল পার হতে হয়। অনেক সময় অভিভাবকরা সঙ্গে আসে না। বৃষ্টির দিনে পুল থেকে পড়ে যাওয়ার ভয়ে ¯ু‹লে আসি না।

ইউপি সদস্য হারুন-অর রশিদ বলেন, ৫ বছর পূর্বে এ রকম ভেঙে যাওয়ায় ইউনিয়ন পরিষদের বরাদ্দে সংস্কার করা হয়েছিল। গত বছর পুনরায় ভেঙে পড়ায় নতুন করে মেরামত করা হয়নি। এ বিষয়ে উপজেলা পরিষদ ও জেলা পরিষদে আবেদনও করা রয়েছে। পরবর্তীতে আর কোনো ব্যবস্থা হয়নি। পুলটি জরুরি ভিত্তিতে সংস্কার করা হলে স্কুল শিক্ষার্থীসহ জনসাধারণের চলাচলের আর দুর্ভোগ পোহাতে হবে না। মোরেলগঞ্জ উপজেলা প্রকৌশলী আরিফুল ইসলাম বলেন, মঠবাড়ি গ্রামের সংযোগ খালের গুরুত্বপূর্ণ সেতু ভেঙে যাওয়ার বিষয়ে তিনি অবহিত আছেন। স্থানীয়দের আবেদনের পরিপ্রক্ষিতে ওখানে একটি সেতু নির্মাণের জন্য এরই মধ্যে প্রস্তাবনা পাঠানো হয়েছে। বরাদ্দ হলে কাজটি শুরু হবে।