বয়স ৯০ হলেও ভাতা পান না শ্যামনগরের আলোদাসী
প্রকাশ : ১০ অক্টোবর ২০২৪, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ
শ্যামনগর (সাতক্ষীরা) প্রতিনিধি
জাতীয় পরিচয়পত্র অনুযায়ী আলোদাসীর জন্ম ১৯৩৪ সালে। এই অক্টোবরে তার ৯০ বছর পূর্ণ হয়েছে। মেয়ের দরিদ্র নাতির সংসারে থাকেন তিনি। প্রতিবন্ধী ছেলে গীরেন গাইনের বয়স হয়েছে ৭৫ বছর। আলোদাসীর স্বামী হেমন্ত গাইন মারা গেছে আরো ১০বছর আগে।
প্রতিবন্ধী ছেলে ও মা সরকারি ভাতার জন্য বার বার আবেদন করেছে অথচ কোনো ভাতার কার্ড পাননি এখনো। আলোদাসীর বাড়ি সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলার শংকরকাটি গ্রামে।
তিনি বলেন, কত মানুষের কাছে গেলাম। ভোটের সময় কত মানুষ আশ্বাস দিল। কিন্তু কেউই কিছুই দিল না। আর কত বয়স হলে বয়স্ক ভাতা পাব? আলো দাসী মেয়ের নাতির পরিবারে থাকেন। সাতজনের পরিবারের একমাত্র উপার্জনকারী সদস্য একজন। মেয়ের নাতি সন্তোষ গাইন বলেন, দিনমজুরি করে সংষার চলে। প্রতিদিন ৩০০ টাকা পান মুজুরি তাও আবার প্রতিদিন কাজ হয় না। তার নানি ও নানির মা দুজনই বয়স্ক ভাতার যোগ্য হলেও কেউই কোনো ভাতা পান না। কাশিমাড়ী পরিষদের (ইউপি) ২ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য ফারুক বলেন, জয়ী হওয়ার পর করোনার সময় ত্রাণ দিয়ে সহযোগিতা করেছি। আর বলেছি, এবার কার্ড এলেই করে দেব। উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা আরিফুল ইসলাম বলেন, আমি যোগদানের পরগত সপ্তাহে বিষয়টি জেনেছি। ইতোমধ্যে ওই নারীর কাগজপত্র জমা নেয়া হয়েছে। শিগগিরই তিনি ভাতার আওতায় আসবেন। এসব তালিকা জনপ্রতিনিধিরা করেন। অনেক সময় কেউ কেউ বাদ পড়ে যান। বিষয়টি বিবেচনা করে চলতি বছর থেকে মাইকিংয়ের মাধ্যমে সুবিধাভোগীদের বাছাইয়ের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। যাতে তার বয়স্ক ভাতা দিতে পারি সে ব্যবস্থা করব।