শেরপুরে বন্যায় কৃষি ও মৎস্য খাতে ব্যাপক ক্ষতি
প্রকাশ : ১১ অক্টোবর ২০২৪, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ
শেরপুর প্রতিনিধি
ভারি বর্ষণ ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে আকস্মিক বন্যায় শেরপুরের পাঁচটি উপজেলার আমন ধান খেত, শাক-সবজি ও মৎস্য খামারের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। পানিবন্দি রয়েছে নিম্নাঞ্চলের অনেক পরিবার। ছোট-বড় অসংখ্য পুকুর ডুবে গেছে। পানি উঠে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে প্লোট্টি খামারিরা। ঘর-বাড়িতে পানি উঠায় বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে জনজীবন। কিছু এলাকায় পানি নেমে অন্য গ্রাম গুলো নতুন করে প্লাবিত হচ্ছে।
শেরপুরের শ্রীবরদী, ঝিনাইগাতি, নালিতাবাড়ী, নকলা ও শেরপুর সদরে অনেক আমন ধান খেত এখনো পানির নিচে নিমজ্জিত রয়েছে। দ্রুত পানি না নেমে গেলে ফসলের ভয়াবহ ক্ষতি হবে বলে আশংকা কৃষকদের।
জেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, ভারি বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলে শেরপুর জেলার, নিম্নাঞ্চল আকস্মিকভাবে প্লাবিত হয়ে পড়ে। এতে কৃষকের আমন ধানখেত, সবজি বাগানসহ বিভিন্ন ফসল পানিতে নিমজ্জিত হয়ে যায়।
জেলা কৃষি কর্মকর্তা হুমায়ূন আহাম্মেদ জানান, জেলার বিভিন্ন উপজেলায় ২০ হাজার ২৮৯ হেক্টর জমির আমন ধান ও ২৫৬ হেক্টর জমির শাকসবজি সম্পূর্ণ পানির নিচে নিমজ্জিত রয়েছে। এ ছাড়াও ২০ হাজার ১৯৫ হেক্টর জমির আমন ধান ও ১০ হাজার হেক্টর জমির সবজিক্ষেত আংশিক নিমজ্জিত। দ্রুত পানি নেমে না গেলে ক্ষয়ক্ষতি আরো বাড়তে পারে।
তিনি আরো বলেন, ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের কৃষি প্রণোদনার আওতায় নিয়ে আসা হবে। জেলা মৎস্য কর্মকর্তা প্রনব কুমার কর্মকার জানান, জেলায় প্রায় ছোট-বড় ২২০ জন খামারির ৩৪০ মেট্টিক টন মাছ পানিতে ভেসে গেছে। এতে শেরপুরের মৎস্য সেক্টরে প্রায় ৭০ কোটি ৫০ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
জেলা প্রশাসক তরফদার মাহমুদুর রহমান বলেন, আমরা সবসময় বন্য পরিস্থিতির খোঁজখবর রাখছি। এরই মধ্যে ২ হাজার জনের মাঝে শুকনো খাদ্য বিতরণ করা হয়েছে। ত্রাণ সহায়তা অব্যাহত রয়েছে। জেলা প্রশাসক সর্বদা ক্ষতিগ্রস্থদের পাশে রয়েছে।