ঢাকা ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

তিতাসে বন্যায় ৫৬ কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি

তিতাসে বন্যায় ৫৬ কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি

কুমিল্লার তিতাসে এবারের বন্যায় প্রায় ৫৬ কোটি ২৩ লাখ ৮২ হাজার ৬৫৪ টাকার ক্ষয়ক্ষতি নির্ধারণ করা হয়েছে। রাস্তা-ঘাটসহ গোমতী পাড়ের মানুষের বসতবাড়ি বিলিনে ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। বন্যার পানিতে ডুবে মারা গেছে দুই শিশু শিক্ষার্থীসহ তিনজন।

উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, চাহিত ডি-ফরমের আওতায় এবারের বন্যায় উপজেলার ৪টি ইউনিয়নে ৫৬ কোটি ২৩ লক্ষ ৮২ হাজার ৬৫৪ টাকার ক্ষয়ক্ষতি নির্ধারণ করা হয়েছে। ১০৯.৩০ বর্গ কিলোমিটার এলাকার কলাকান্দি, ভিটিকান্দি, নারান্দিয়া ও জিয়ারকান্দি (আংশিক) ইউনিয়নে বন্যায় আক্রান্ত হয়েছে ৬ হাজার ২০০ জন।

এ ছাড়া ক্ষয়ক্ষতির তালিকায় বন্যার পানিতে ডুবে মারা গেছে উপজেলার বাঘাইরামপুর গ্রামের রাজমিস্ত্রি মুক্তার হোসেনের মেয়ে সামিয়া আক্তার (১০) ও একই গ্রামের মালদ্বীপ প্রবাসী মনির হোসেনের মেয়ে আয়েশা আক্তার (১০) এবং উপজেলার রঘুনাথপুর গ্রামের মো. হেলাল মিয়ার ছেলে মো. হামিম হোসেন (৫) রয়েছে।

জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে জমা দেয়া প্রতিবেদনের আলোকে জানা যায়, বন্যায় আক্রান্ত ৪টি ইউনিয়নে ২ কোটি ৫৮ লক্ষ ৫০ হাজার টাকার ২৭৪টি পরিবার আংশিক ও ৪৯টি পরিবার সম্পূর্ণ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

১৬ লাখ ২৪ হাজার ৫০০ টাকার ৬টি ছাগল, ৬টি গরু, ২৫০টি হাঁস ও ১ হাজার ৪০০ মুরগি মারা যায়। ৩ কোটি ৮৬ লক্ষ ৩৯ হাজার ৫৪ টাকার ১৭০ হেক্টর শস্যক্ষেত সম্পূর্ণ ও ২২৬ হেক্টর শস্যক্ষেত আংশিক ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে।

৪৪ কোটি ৩২ লাভ টাকার ৩৫ কিলোমিটার পাকা সড়ক, ১৪ কিলোমিটার নির্মানাধীন সড়ক, ৩১ কিলোমিটার কাঁচা সড়ক, ১টি সেতু ও ৪টি কালভার্ট ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে।

এ ছাড়াও ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ৫টি মসজিদ ও ১টি মন্দির ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে যার ব্যয় ধরা হয়েছে ৩০ লক্ষ টাকা।

২৫ লক্ষ টাকার ০.৫০ কিলোমিটারের ডুবন্ত বাঁধ ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। ১৪টি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও ৩টি আংশিক মাদ্রাসার ক্ষয়ক্ষতি নির্ধারণ করা হয়েছে ২২ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা। ৪ কোটি ৮ লক্ষ টাকার ১৫৫টি গভীর নলকূপ, ১৭০টি হস্তচালিত টিউবওয়েল এবং ১ হাজার ১০টি স্বাস্থ্য সম্মত পায়খানা ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। ১৫টি মৎস্য আহরণ উপকরণসহ ৪২৯টি পুকুরের মোট ৯ লক্ষ ২০ হাজার টাকার ক্ষতিসাধন হয়।

উপজেলা প্রকৌশলী মো. শাহিদুল ইসলাম বলেন, এলজিইডি আওতায় এবারের বন্যায় তিতাসে প্রায় ৮০ কিলোমিটার পাকা, আধা পাকা ও কাঁচা রাস্তার ক্ষতি হয়েছে যার ব্যয় নির্ধারণ করা হয়েছে প্রায় ৪৪ কোটি ৩২ লাখ টাকা।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার সুমাইয়া মমিন জানান, উপজেলা পর্যায়ে প্রায় ৫৬ কোটি টাকার উপরে ক্ষয়ক্ষতি নির্ধারণ করা হয়েছে। ডি-ফরমের মাধ্যমে তা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে জমা দেয়া হয়েছে। এখন পর্যন্ত কোনো বরাদ্দ পাওয়া যায়নি।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত