বগুড়ার বনানীতে ফুটওভার ব্রিজ থাকা সত্ত্বেও অনেক পথচারী সেটি ব্যবহার করতে অনীহা দেখাচ্ছেন, যা এলাকায় যানজটের মূল কারণগুলোর একটি হয়ে দাঁড়িয়েছে। বনানী একটি ব্যস্ত বাণিজ্যিক এলাকা হওয়ায় সড়ক দিয়ে প্রচুর যানবাহন চলাচল করে। ফুটওভার ব্রিজ ব্যবহার না করে পথচারীরা সরাসরি রাস্তা পারাপার করায় যান চলাচলে বিঘ্ন ঘটে এবং ফলে যানজট সৃষ্টি হয়।
নির্বিঘ্নে পথচারীদের পারাপারের জন্য ব্রিজ নির্মাণ করা হলেও কোনো কাজে আসছে না। এতে ঘটতে পারে দুর্ঘটনা। তারপরও জীবনের ঝুঁকি নিয়েই মানুষ রাস্তা পার হচ্ছে। বগুড়ায় মহাসড়কের উপর বেশ কয়েকটি ফুটওভার ব্রিজ থাকলেও চলাচলে একই চিত্র লক্ষ্য করা গেছে।
দুর্ঘটনারোধে ওভার ব্রিজ ব্যবহারে মানুষকে উদ্বুদ্ধ করতে হবে। দীর্ঘদিনের অভ্যাস বদলাতে পারছে না পথচারীরা। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে পার হলেও তারা কোন ধরনের তোয়াক্কা করছে না। বিগত সময়ে ফুটওভার ব্রীজ ব্যবহার না করার ফলে দুর্ঘটনাও ঘটেছে। তথাপিও মানুষের ফুটওভার ব্রীজ দিয়ে পারাপারে আগ্রহ বাড়ছে না।
মেহেদী হাসান নামে এক পথচারী জানান, সিঁড়ি বেয়ে উপরে উঠতে কষ্ট হয় এই অজুহাতে কেউ এসব ব্রিজ ব্যবহার করে না। তাই জীবনের ঝুঁকি নিয়ে হেঁটে রাস্তা পার হয়। তার দাবি সড়ক বিভাজকে ব্যারিয়ার করে দিলে ফুটওভার ব্রিজগুলো ব্যবহার হবে।
নাঈম নামে সুজাবাদের এক পথচারী বলেন, ‘নিচ দিয়ে হেঁটে এ রাস্তা পারাপারে অভ্যস্ত, ওপর দিয়ে রাস্তা পার হতে ইচ্ছে করে না। পথচারীদের সচেতনতার অভাবে ফুটওভার ব্রিজ ব্যবহার না করায় দুর্ঘটনা ঘটে। ফুটওভার ব্রিজের নিচের সড়কের ডিভাইডারে ব্যারিয়ার স্থাপন এখন অপরিহার্য হয়ে পড়েছে।’
বগুড়া হাইওয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আব্দুল কাদের জিলানী (চলতি দায়িত্বে) বলেন, মহাসড়কে দুর্ঘটনা রোধে ফুটওভার ব্রিজ ব্যবহারে পথচারীদের সচেতন করে আসছি। দুর্ঘটনা রোধে সড়ক ব্যবহারকারী ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে নিয়মিত সচেতনতামূলক কার্যক্রমও পরিচালনা করা হচ্ছে।
সওজ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী আসাদুজ্জামান বলেন, মহাসড়কে দুর্ঘটনা প্রতিরোধে বনানীতে ফুটওভার ব্রিজ নির্মাণ করা হয়েছে। ফুটওভার ব্রিজ ব্যবহারের জন্য যথাযথ প্রচারণা ও পদক্ষেপ গ্রহণ করলে এই যানজট অনেকাংশে হ্রাস করা সম্ভব হবে।