নীলফামারীতে স্বল্প খরচে পতিত জমিতে আদা চাষে বাড়তি আয়ের মুখ দেখছেন কৃষকেরা। বেশি লাভ হওয়ায় জেলার সব উপজেলায় কম-বেশি বস্তায় আদা চাষের আগ্রহ বাড়ছে। এমনকি শহরের বিল্ডিংয়ের ছাদেও অনেকে শখ করে বস্তায় আদা চাষ করছেন।
জেলা কৃষি বিভাগ জানান, কৃষকদের মাঝে বাড়তি আয়ের জন্য বাণিজ্যিকভাবে প্রতিনিয়ত বাড়ছে বস্তায় আদা চাষে কৃষকের আগ্রহ। এমনকি অনেকে বাড়ির ছাদেও বস্তায় আদা চাষ করছেন। বস্তায় আদা চাষের খরচ অনেক কম। এবার নীলফামারী জেলায় ৩ লাখ ৩২ হাজার ৭৭৫ বস্তায় আদা চাষ হচ্ছে।
মসলা এবং ভেষজ ওষুধ হিসেবে আদা ব্যবহার হওয়ায় এর দামও বেশ চড়া। তাই পরিবারের প্রয়োজন মেটানোর পাশাপাশি বাণিজ্যিক ভাবে বাড়তি আয়ের জন্য বস্তায় আদা চাষ করছেন কৃষকেরা।
নীলফামারী সদর উপজেলায় ১ লাখ ৫ হাজার, ডোমার ৬৫ হাজার বস্তা, ডিমলা ৬০ হাজার, কিশোরগঞ্জ ৫৮ হাজার ৪০০ বস্তা, জলঢাকা ২৬ হাজার ও সৈয়দপুর উপজেলায় ১৮ হাজার ১৫০ বস্তা পতিত জমিতে আদা চাষ করা হয়েছে।
সদরের টুপামারীর চৌধুরী পাড়ার ফারুক চৌধুরী বলেন, বাড়ির পাশে পতিত জমিতে ১ হাজার বস্তায় আদা চাষ করেছি, বস্তায় আদা চাষে খরচ অনেক কম, বস্তা প্রতি দেড় থেকে ২ কেজি আদা হয়। আদার চাহিদা বেশি ও বাজারে অনেক দাম হওয়ায় এবার আমার অনেক লাভ হবে।
কিশোরগঞ্জ উপজেলার বাবুল হোসেন জানান, তিনি বাড়ির পাশে পরিত্যাক্ত জায়গায় ৩০০ বস্তায় আদা চাষ করেছে। কৃষি অফিসের সার্বিক পরামর্শে নিয়মিত আদা গাছ পরিচর্যা করেছেন।
ডোমারের আদা চাষি রহিম মিয়া বলেন, অনলাইনে বস্তায় আদা চাষের পদ্ধতি দেখে তিনি তার পুকুরের চারপাশে তিন হাজার বস্তায় আদা চাষ করেছেন।
নীলফামারী জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক ড. এসএম আবু বকর সাইফুল ইসলাম আলোকিত বাংলাদেশ কে বলেন, বস্তায় আদা চাষে ব্যপক সাড়া পড়েছে, জেলার সবগুলো উপজেলায় বর্তমানে কম-বেশি বস্তায় আদা চাষ হচ্ছে। বস্তায় আদা চাষে কম খরচ হওয়ায় কৃষকেরা অনেক লাভবান হচ্ছে।