গতকাল রোববার বিজয়া দশমীর দিনে কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতের লাবনী পয়েন্ট হয়ে উঠেছিল উৎসবমুখর এক মিলন মেলার। বেলা আড়াইটার দিকে সাংস্কৃতিক আয়োজনের মধ্যদিয়ে বিসর্জন অনুষ্ঠানের শুরু হয়। পরে একে একে সবাই শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন। বক্তারা কক্সবাজার জেলায় সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির ঐতিহ্যের কথা তুলে ধরেন। কক্সবাজারে দূর্গোৎসবকে ঘিরে যে উৎসব মানুষের মাঝে দেখা যায়, তা দেশের কোথাও দেখা যায় না। বেলা ৩টার পর থেকে মণ্ডপ গুলো থেকে প্রতিমা বিসর্জন মঞ্চে আসতে শুরু করে। ট্রাকের বহর নিয়ে যুবকরা রং ছিটিয়ে বাজনা বাজিয়ে আনন্দ করতে করতে সমুদ্র সৈকতে নিয়ে আসছেন প্রতিমার বহর। বক্তৃতা পর্ব শেষে বেলা সাড়ে ৫টার দিকে সমুদ্রের লোনাজলে বিসর্জন দেয়া হয় প্রতিমা। একে একে বিসর্জন হচ্ছিল, আর পুণার্থীদের মাঝে কান্না, আনন্দ ও উৎসবমুখর পরিবেশ। কক্সবাজার শহরের গোলদীঘির পাড় এলাকার রাণীবালা দাশের চোখে ছিল পানি। তিনি বলেন, মা দুর্গার বিদায়কে কোন ভাবেই মেনে নিতে পারছি না। দুর্গা মায়ের জন্য আবার আরেকটি বছর অপেক্ষা করতে হবে। ঢাকার বারিধারা থেকে এসেছেন আবদুল করিম ও মাইমুনা খানম দম্পতি। তারা পূজোর ছুটিতে কক্সবাজার এসেছেন। তারা দুর্গোৎসবের এই আয়োজনে মুগ্ধ। তাদের জীবনে এমন আয়োজন দেখেননি। বিসর্জন অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন- কক্সবাজার জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সালাহউদ্দিন, পুলিশ সুপার মুহাম্মদ রহমত উল্লাহ, বিএনপির কেন্দ্রীয় মৎস্যজীবী বিষয়ক সম্পাদক লুৎফুর রহমান কাজল, জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট শামীম আরা স্বপ্না, সাবেক পৌর মেয়র সরওয়ার কামাল, সদর উপজেলার সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান ভিপি শহিদুল আলম বাহাদুর, কক্সবাজার প্রেসক্লাব সভাপতি মাহবুবর রহমান প্রমুখ।