ঢাকা ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

জলাবদ্ধতা নিরসনের স্লুইচগেট নির্মাণের দাবি

জলাবদ্ধতা নিরসনের স্লুইচগেট নির্মাণের দাবি

বলেশ্বর নদী তীরবর্তী উপকূলীয় মঠবাড়িযার সাপলেজা ইউনিয়নের ছয়টি গ্রামে স্থায়ী জলাবদ্ধতা নিরসন ও শুকণো মৌসুমে জোয়ার-ভাটার পানি প্রবাহে টেকসই স্লুইচগেট নির্মাণের দাবিতে মানববন্ধন করেছেন সহস্রাধিক কৃষক। গত সোমবার উপজেলার সাপলেজা ইউনিয়নের তাফালবাড়িয়া গ্রামের হলতা নদীর ও তারাখালের সংযোগ বাঁধের (পাউবোর) ওপর এ মানববন্ধন ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক ফারুক আলমের সভাপতিত্বে প্রতিবাদ সমাবেশে বক্তব্য দেন- অবসরপ্রাপ্ত বিজিবি সদস্য ও কৃষক রেজাউল আলম, অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক আব্দুল মালেক, কৃষক সেলিম সিকদার, মাওলানা হাবিবুর রহমান প্রমুখ। বক্তারা বলেন, স্বাধীনতা পরবর্তী পিরোজপুর পানি উন্নয়ন বোর্ড ওই ইউনিয়নে হলতা নদীর পাড়ে ১৩৯/ডি পোল্ডারে ১৬ কিলোমিটার বেড়িবাঁধ নির্মাণ করে। ওই বাঁধটি অপরকিল্পিত অপরিকল্পিত হওয়ায় এটি কৃষকদের মরণ ফাঁদে পরিণত হয়েছে। এরফলে ওই ইউনিয়নের তাফালবাড়িয়া, নলীতুলা, নলীজয়নগর, গোলবুনিয়া, ঝাটিবুনিয়া ও চড়কগাছিয়া এ ছয় গ্রামে বর্ষা মৌসুমে জলাবদ্ধতা ও শুষ্ক মৌসুমে পানি সঙ্কট দেখা দেয়। অতিসম্প্রতি ভারি বর্ষণে এলাকায় ৫/৬ ফুট পানি বৃদ্ধি পায়। ওই পানি দ্রুত অপসারণ না হওয়ায় ২০/২৫দিন ধরে স্থায়ী জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়। বর্ষা মৌসুমে জলাবদ্ধতা ও শুকনো মৌসুমে পানির অভাবে ব্যাপক ফসলহানি ঘটে। এ ছাড়া নাব্য হরানো তারা খালে স্থানীয় দু’প্রভাবশালী পরিবারের মাছ চাষ করায় খালটির পানি গ্রামবাসী ব্যবহার করতে পারছেন না। সম্প্রতি এলাকাবাসী হলতা নদী ও তারা খালে টেকসই বাধ চেয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কাছে আবেদন করেন। স্থানীয় তাফালবাড়িয়া গ্রামের কৃষক সেলিম সিকদার জানান, অপরিকল্পিত বাধের কারণে সম্প্রতি জলাবদ্ধতারসৃষ্টি হলে তার ৪ একর জমির রোপা আমনের সবই পানিতে পচে নষ্ট হয়ে গেছে। মহাজনের কাছ থেকে ওই জমি একসনা বন্ধক নিয়ে আমন আবাদ ও চারা খরচসহতার লক্ষাধিক টাকা কর্জ করে খরচ করেছেন। দ্রুত খালে স্লুইজগেট নির্মাণ না হলে তিনি আত্মহত্যার হুমকি দেন। কৃষক আ. রহমান বলেন-১৯৮৫ সালে কৃষকরা ওই বাঁধ অপসারণে দাবি শুরু করে। পরে পাউবো সেখানে পরিকল্পিত স্লুইজগেট নির্মাণের আশ্বাস দিলেও আজও তা কার্যকর হয়নি। কৃষক আমন বলেন-হলতা নদী ও তারা খালে স্লুইজগেট না থাকায় প্রতি শুকনো মৌসুমে পানির অভাবে মুগ, মশুর কলইসহ রবি ফসল আবাদ করা যাচ্ছে না।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত