মধুমতির ভয়াবহ ভাঙনে ফসলি জমি বিলীন

প্রকাশ : ১৬ অক্টোবর ২০২৪, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  মধুখালী (ফরিদপুর) প্রতিনিধি

ফরিদপুরের মধুখালী উপজেলার কামারখালী ইউনিয়নের মধুমতি নদীতে তীব্র ভয়াবহ ভাঙন দেখা দিয়েছে। গত ৪ মাসে পশ্চিম সালামতপুর গ্রামের সাতটি পরিবারের বসতবাড়ি, রাস্তাঘাটসহ আরো ১৫টি পরিবার ভাঙন ঝুঁকিতে রয়েছে। ভাঙনে কমপক্ষে দশ একর ফসলি জমি নদীতে হয়ে চলে গেছে।

সালামতপুর ও দয়ারামপুর গ্রামের মানুষের কৃষি জমি ভেঙে যাচ্ছে চোখের পলকে। ভাঙন আতঙ্কে নির্ঘুম রাত কাটাচ্ছে সালামতপুর গ্রামের নদীর পশ্চিমণ্ডউত্তর পাড়ের ২২টি পরিবারসহ পাশের অনেকেই। তবে ভাঙন রোধে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় দ্রুত ব্যবস্থা নেয়ার কথা জানিয়েছে পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো)।

গতকাল মঙ্গলবার ভাঙনকবলিত এলাকা ঘুরে দেখা যায়, মধুখালী উপজেলার কামারখালী ইউনিয়নের পশ্চিম সালামতপুর ও পূর্ব সালামতপুর গ্রামে ভাঙন অব্যাহত রয়েছে। গত ৪ মাস ধরে মধুমতি নদীর পশ্চিম ও পূর্ব পাড়ে ভাঙনে প্রতিদিনই বিলীন হচ্ছে বসতভিটা, রাস্তাঘাট ও একরের পর একর ফসলি জমি। যেসব বসতবাড়ি তীব্র ভাঙন ঝুঁকিতে রয়েছে তারা ভাঙন আতঙ্কে নির্ঘুম রাত কাটাচ্ছে। নদীতে ফসলি জমি বিলীন হওয়া সালামতপুর গ্রামের কৃষক ইসহাক আলী মোল্যা বলেন, গত কয়েকদিনে এ গ্রামে ঘরবাড়ি নদীতে যাওয়ার আশাঙ্কা আর প্রায় দশ একর ফসলি জমি নদীতে বিলীন হয়ে গেছে। আমার নিজের ফসলি জমি বিলীন হয়ে আমি অসহায় হয়ে পড়েছি। এখানে কিছু বালুর বস্তা দিলে আপাতত ভাঙন রোধ করা যেত। সরকারের কাছে স্থায়ী বাঁধের দাবি জানান এ কৃষক। ক্ষতিগ্রস্ত পশ্চিম সালামতপুর গ্রামের ফারুক মোল্যা বলেন, আমাদের বাড়ি এবার নদীর ভাঙনে গেলে আর বাড়ি করা হবে না। গাছপালা নদীতে চলে গেছে। বলতে বলতে আর বলার জায়গা নেই। আমাদের মতো গরিবের খবর কেউ রাখে না। আপনাদের মাধ্যমে সরকারকে কষ্টের কথা জানালাম। মুরাদ হোসেন বলেন, নদী ভাঙন শুরু হয়েছে। সব সময় আতঙ্কে থাকি কোন সময় ঘর ভেঙ্গে যায়।