আবহমানকাল ধরে জয়পুরহাটের ক্ষেতলাল উপজেলার পশ্চিম দেওগ্রামে বিনোদনের খোরাক জুগিয়েছে লাঠিখেলা। কিন্তু কালের বিবর্তনে মানুষ ভুলতে বসেছে এসব বিনোদন। তারপরও বাপ দাদার এ পেশাকে বুকে আঁকড়ে ধরে এখনো মানুষকে বিনোদন দিয়ে যাচ্ছেন কয়কেটি পরিবার। তাদের চিন্তা ভাবনা তাদের মৃত্যুর পর এ খেলাটি আর থাকবে কী না? দুদিন ব্যাপী চলে লাঠি খেলার মেলা। হারিয়ে যেতে বসা এ খেলা উপভোগ করতে দূর দুরান্ত থেকে মেলায় এসেছেন সব বয়সী মানুষ। আর মেলাকে ঘিরে আশপাশের কয়েকটি গ্রামে শুরু হয়েছে উৎসবের আমেজ। গত সোমবার ও অক্টোবর গত মঙ্গলবার দুদিনব্যাপী হয়ে গেল বিলুপ্ত প্রায় গ্রাম বাংলার ঐতিহ্যবাহী লাঠি খেলার মেলা। বাংলার ঐতিহ্যের অংশ এ বিনোদন নিয়ে মানুষের অনেক আগ্রহ রয়েছে। লাঠি খেলার নতুন করে কোনো সংগঠন বা দল তৈরি না হওয়ায় হারিয়ে যেতে বসেছে গ্রাম বাংলার ঐতিহ্যবাহী লাঠি খেলা। ঢাক আর লাঠির তালে তালে নাচা-নাচি, অন্য দিকে প্রতিপক্ষের হাত থেকে আত্মরক্ষার কৌশল অবলম্বনের প্রচেষ্টা সম্বলিত টান টান উত্তেজনার একটি খেলার নাম লাঠি খেলা। এই খেলাকে ঘিরে জয়পুরহাটের ক্ষেতলালের দেওগ্রামে শুরু হয়েছে দুদিন ব্যাপী লাঠি খেলার মেলা। লাঠি হাতে করবতের সঙ্গে মিশ্রণের নামই লাঠি খেলা। অনুশীলনকারীকে লাঠিয়াল বলা হয়ে থাকে। মূলত ঢাকের বাজনার সাথে লাঠি হাতে কসরতের মিশ্রণের নামই লাঠি খেলা। আর অনুশীলনকারীকে লাঠিয়াল বলা হয়। এই খেলার জন্য লাঠি সাড়ে চার থেকে পাঁচ ফুট লম্বা হয়। তবে প্রতিটি লাঠিই হয় প্রায় তৈলাক্ত। প্রত্যেক খেলোয়ার তাদের নিজ নিজ লাঠি দিয়ে রণকৌশল প্রদর্শন করে। শুধুমাত্র বলিষ্ঠ যুবকেরাই এই খেলায় অংশ নেয়।