হবিগঞ্জ জেলার বাহুবল উপজেলার হাফিজপুর গ্রামে গ্রিন লাইন নামক হাইব্রিড জাতের শসা চাষ করেন কৃষক মো. তৌহিদ মিয়া। এই জাতের শসা চাষ করে সাড়া ফেলেছেন তিনি। শসা চাষে লাভবান হওয়ায় তার মুখে হাসি ফুটেছে।
ফ্রিপ প্রকল্পের আওতায় বর্ষাকালীন এ জাতের শসা চাষে তিনি ব্যবহার করেছেন মালচিং পদ্ধতি ও জৈব বালাইনাশক। নিজ বাড়ির পাশে মাত্র ২০ শতক জমিতে প্রায় ৩০ হাজার টাকা ব্যয় করে এ পর্যন্ত তিনি ১ লাখ ৯০ হাজার টাকার শসা বিক্রি করেন। বাকি সময়ে আরো ১ লাখ ১০ হাজার টাকার বিক্রির আশা করছেন ওই কৃষক। তার এই সফলতা দেখে অনেকে আগ্রহী হয়ে শুরু করেছেন শসা চাষ। তার কাছ থেকে নিচ্ছেন চাষের বিষয়ে বিভিন্ন পরামর্শ।
দ্বিমুড়া কৃষি ব্লকের উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা শামীমুল হক শামীমের পরামর্শে কৃষক তৌহিদ মিয়া ওই পরিমাণ জমিতে মালচিং পদ্ধতিতে গ্রিন লাইন জাতের শসা চাষের উদ্যোগ নেন। জমিতে বীজ রোপণ করেন। কিছু দিনের মধ্যে প্রায় আড়াই হাজার চারা গজায়। চারাগুলোর ওপর বাঁশ ও জাল দিয়ে তৈরি মাঁচানে লতাপাতা বিস্তার করতে শুরু করে। রোপণ করার ৩৬ দিনের মধ্যেই মাঁচায় ঝুলছে শসা আর শসা। গাছ থেকে সংগ্রহ করে প্রতি কেজি শসা ৭০ থেকে ৫৫ টাকায় বিক্রি করা হচ্ছে। আরো প্রায় ২০ দিন পর্যন্ত গাছ থেকে শসা সংগ্রহ করা যাবে। কৃষক তৌহিদ মিয়া বলেন, উপজেলার দ্বিমুড়া কৃষি ব্লকের উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা শামীমুল হক শামীম স্যার আমাকে সাহস ও পরামর্শ দিয়েছেন। আমি জমি আবাদ করে কঠোর শ্রম দিয়েছি। মাত্র ২০ শতক জমিতে শসা চাষ করে চমৎকার ফলন পেয়েছি। এ শসা সংগ্রহ করে পুরানবাজার ও মিরপুরে নিয়ে বিক্রি করছি। অনেক সময় পাইকাররা ক্ষেতে এসে ক্রয় করে নিয়ে যাচ্ছেন। আগামী মৌসুমে আরও বেশি পরিমাণে জমি আবাদ করে শসার চাষ করার ইচ্ছে রয়েছে। আমার ন্যায় এলাকার অন্যান্য কৃষকদেরও শসা চাষে আগ্রহ বেড়েছে।
স্থানীয়রা বলেন, গ্রিন লাইন জাতের শসা চাষ আমাদের এলাকায় তেমন একটা হয় না। তৌহিদ মিয়ার ওই জাতের শসা চাষ দেখে আমাদেরও আগ্রহ বেড়েছে। আগামী মৌসুমে আমরাও অন্যান্য ফসলের পাশাপাশি শসা চাষ করব।
উপজেলার দ্বিমুড়া কৃষি ব্লকের উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা শামীমুল হক শামীম বলেন, শসা চাষের ব্যাপারে তৌহিদ মিয়াকে সব ধরনের পরামর্শ ও সহযোগিতা করেছি।