ঢাকা ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

পেঁপে চাষে ফিরেছে আর্থিক সচ্ছলতা

পেঁপে চাষে ফিরেছে আর্থিক সচ্ছলতা

গাইবান্ধার পলাশবাড়ী পৌর এলাকার বাসিন্দা আমিরজল হোসেন। একসময় করতেন ক্ষুদ্র ব্যবসা। এরই মধ্যে ব্যবসায় দেখা দেয় মন্দাভাব। এ অবস্থায় ইউটিউব চ্যানেলে দেখতে পান পেঁপে চাষের চিত্র। এ থেকে নিজেই শুরু করেন উন্নত জাতের পেঁপে আবাদ। এখন সেই ব্যবসা বাদ দিয়ে এই আবাদে অনেকটা সফলতার মুখ দেখছেন তিনি। পরিবারে ফিরছে আর্থিক সচ্ছলতা। এ নিয়ে স্থানীয়দের মাঝে ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি করেছেন এই কৃষক আমিরজল।

গতকাল পলাশবাড়ী পৌর এলাকার ছোটশিমুলতলা গ্রামের মাঠে দেখা গেছে আমিরজল হোসেনের পেঁপে চাষের মুগ্ধকর দৃশ্য। সেখানে সারি সারি গাছে ঝুলে আছে থোকা থোকা পেঁপে। প্রত্যেকদিন পেঁপে ছিড়ে বিক্রি করলেও তবুও গাছের পেঁপে যেন শেষই হচ্ছে না তার।

জানা যায়, ছোটশিমুলতলা গ্রামের মৃত আলিম উদ্দিনের ছেলে আমিরজল হোসেন দুই বছর আগে একটি ইউটিউব চ্যানেল দেখেন। সেখানে এক ভিডিও চিত্রে পেঁপে চাষ পদ্ধতি দেখে নিজেও আগ্রহী হয়ে ওঠেন। এরপর পরিকল্পিতভাবে প্রথমে দুই বিঘা জমিতে পেঁপে আবাদ করেন তিনি। তখন থেকে পেছন ফিরে তাকাতে হয়নি তাকে। এই চাষে লাভবান হয়ে এ বছরে আরও ভালো জাতের পেঁপের চারা ও বীজ সংগ্রহ করে ১২ বিঘা জমিতে পুনরায় পেঁপে বাগান করেন। এতে বাম্পার ফলন হওয়ায় খরচ বাদে প্রতিবিঘায় লাভ থাকছে প্রায় দেড় লাখ টাকা। এখন এই আবাদে স্বাবলম্বী হয়েছেন কৃষক আমিরজল হোসেন। এরই মধ্যে তার পেঁপে চাষ দেখে স্থানীয় বেশ কিছু কৃষক এ আবাদে ঝুকেঁ পড়ছেন বলে একাধিক সূত্রে জানা গেছে।

কৃষি উদ্যোক্তা আমিরজল হোসেন বলেন, চারা লাগানোর ৩ থেকে ৪ মাসের মাথায় গাছে ফুল আসে। এরপর থেকে পেঁপে সংগ্রহ শুরু হয়। এতে প্রতিবিঘায় খরচ হয় ৪০ থেকে ৫০ হাজার টাকা। আর সব খরচ বাদ দিয়ে বিঘাপ্রতি দেড় লাখের অধিক টাকা লাভ থাকে। তিনি আরও বলেন, আমি ১২ বিঘা জমিতে পেঁপে চাষ করে বতর্মানে ২০ লাখ টাকা ঘরে তুলেছি। গাছে আরও অনেক পেঁপে আছে। সেগুলোও প্রায় ৪ লক্ষাধিক টাকা বিক্রি করা সম্ভব। ঢাকা থেকে পাইকার এসে জমি থেকেই পেঁপে কিনে নিয়ে যান। প্রতিমণ পেঁপে ১ হাজার থেকে ১২০০ টাকায় বিক্রি করছি।

এ বিষয়ে পলাশবাড়ী উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা ফাতেমা কাওসার মিশু জানান, পরিকল্পিতভাবে পেঁপে চাষ অনেকটা লাভজনক। কৃষক আমিরজল হোসেনকে সর্বাত্মভাবে সহযোগিতা করা হচ্ছে।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত