চাঁদপুর জেলার ২৮৯ প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নেই। চলছে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক দিয়ে। এ ছাড়া ৩৩০ জন সহকারী শিক্ষকের পদ শূন্য রয়েছে। প্রধান শিক্ষকের পদ শূন্য থাকায় অভিভাবকহীন হয়ে পড়েছে চাঁদপুরের ২৮৯টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়।
চাঁদপুর জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা যায়, চাঁদপুর জেলার ৮ উপজেলার ১১৫৬টি প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে। এর মধ্যে ২৮৯টি বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক নেই। জেলায় প্রাথমিক বিদ্যালয়ের বর্তমানে মোট শিক্ষক রয়েছে ৮১৩০ জন, ছাত্র-ছাত্রী অধ্যয়নরত আছে ৩ লক্ষ ১২ হাজার ৩৫০ জন। ক্লাস্টার রয়েছে ৪৬টি, সাব- ক্লাস্টার ২২৫টি, ভর্তির হার ৯৯.৯৮% ও ঝরে পড়ার হার ৮.৭৩%।
এদিকে সহকারী শিক্ষকের ৩৩০টি পদ শূন্য নিয়েই চলছে জেলার প্রাথমিক শিক্ষা ব্যবস্থা। অন্যদিকে শিক্ষা অফিসগুলোতে প্রায় ৫৫টি পদ শূন্য রয়েছে। শূন্য পদের মধ্যে উচ্চমান সহকারী, নিম্নমান সহকারী, অফিস সহকারী কাম মুদ্রাক্ষরিক, অফিস সহায়কসহ বিভিন্ন পদে ৫৫টি পদে জনবল শূন্য রয়েছে। এসব পদে নতুন প্রধান শিক্ষক নিয়োগের প্রক্রিয়া চলছে। শূন্য পদে প্রধান শিক্ষক পদায়ন হবে পদোন্নতি ও সরাসরি নিয়োগের মাধ্যমে। পদোন্নতির মাধ্যমেই বেশি নিয়োগ হবে।
বছরে জেলার প্রতি বিদ্যালয়ে সর্বনিম্ন ৫০ হাজার এবং ঊর্ধ্বে ৭০ হাজার দৈনন্দিন খরচ করার জন্য বরাদ্দ দেয়া হয়। স্কুল বুঝে বরাদ্দ দেয়া হয়। এ বরাদ্দে মূলত চক, ডাস্টার, খেলাধুলাসহ বিভিন্ন অফিসিয়াল আনুসাঙ্গিক খরচ করা হয়। যা স্লিপের মাধ্যমে দেয়া হয়। এই ক্ষেত্রে অভিযোগ আছে কিছু স্কুলে এই বরাদ্দ পুরোপুরি খরচ করা হয় না।
সাম্প্রতিক বন্যায় জেলার ১৬৯টি প্রাথমিক বিদ্যালয় ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এতে ১ কোটি ৬ লক্ষ ২৫ হাজার টাকার ক্ষতি হয়েছে। যা কাটিয়ে উঠতে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস তাদের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছেন। এরই মধ্যে অনেক বিদ্যালয় মেরামত কাজ সম্পন্ন করেছেন। অনেকগুলোতে কাজ চলমান।
চাঁদপুর জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার ফাতেমা মেহের ইয়াসমিন জানান, প্রধান শিক্ষক ও সহকারী শিক্ষকসহ জনবল সংকট রয়েছে। সহকারী শিক্ষক পদে শূন্য রয়েছে ৩৩০ জন। সহকারী শিক্ষক পদে নিয়োগ হবে এবং প্রধান শিক্ষক পদে প্রমোশন দিয়ে শূন্যপদ পূরণ হবে বলে জানান। উচ্চমান সহকারী, অফিস সহকারী পদে নিয়োগ অতিদ্রুত হবে। পদোন্নতি কার্যক্রমের মাধ্যমে প্রধান শিক্ষকের পদ পূরণ হলে প্রাথমিক শিক্ষা আরো বেগবান হবে বলে তিনি আশাবাদ করেন।