সাতক্ষীরার কালিগঞ্জের বিভিন্ন হাট বাজারে নিত্যপন্যের দাম ঊর্ধ্বগতি, নিম্ন আয়ের মানুষ হিমশিম খেতে হচ্ছে। উপজেলার হাট-বাজার ঘুরে জানাগেছে, সব প্রকার সবজিতে দাম বৃদ্ধির কারণে ক্রেতাসাধারণের মাঝে স্বস্তি নেই। কাঁচা মরিচ, বেগুন, আলু ও পেঁয়াজসহ অনেক নিত্যপণ্যের দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় নিরুপায় ক্রেতারা। চলমান ঊর্ধ্বগতি বাজারে কিছুতেই হিসেব মিলছে না মানুষের। পাল্লা দিয়ে বাড়ছে সবজির দাম। ফলে বিপাকে পড়েছেন নিম্ন আয়ের মানুষ। এখন বাজার লাগামহীন থাকায় ক্রয় ক্ষমতার বাহিরে চলে যাচ্ছে খেটে খাওয়া মানুষের। নিরুপায় হয়ে সবজিসহ প্রয়োজনীয় জিনিস পত্র চাহিদার তুলনায় কম ক্রয় করছেন তারা। সরেজমিনে উপজেলার কুশুলিয়ার হাটে গিয়ে দেখা যায় বেগুন কেজি প্রতি ১২০ টাকা, কাঁচা মরিচ ৪০০ টাকা, দেশি পেঁয়াজ ১১০ টাকা, এলসি পেঁয়াজ ৯০ টাকা। কাঁচকলা ৫০ টাকা, বরবটি ৬০ টাকা, ঢ্যাঁড়স ৫০, টাকা গোল আলু ৬০ টাকা, মিষ্টি কুমড়া ৬০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। খুচরা সবজি বিক্রেতা আলতাফ হোসেন, মফিজুর রহমান, নুর ইসলামসহ অনেকেই খুচরা সবজি বিক্রেতা জানান, আমরা পাইকারি দামের চেয়ে সামান্য লাভ করেই সবজি বিক্রি করে থাকি। কিছুদিন আগে সবজির বাজার কম ছিল। তাই ক্রেতারা বেশি ক্রয় করত। এখন দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় ক্রেতারা চাহিদার তুলনায় কম ক্রয় করছেন। এখন স্থানীয় ভাবে বিভিন্ন ধরনের সবজির আমদানি না হওয়ায় দাম বেড়েছে বিক্রিও কমেছে। উপজেলার বালিয়াডাঙ্গা বাজার, মৌতলা বাজার, বাঁশতলা বাজার, কালিগঞ্জ বাজার, নলতা বাজার, উজিরপুর বাজারসহ ছোট বড় হাট বাজারে নিত্যপণ্যের দাম দুই এক টাকার ব্যবধানে বিক্রি করছেন খুচরা বিক্রেতারা। ক্রেতা সুরত আলী, মোকছেদ আলী, মোবারক গাজীসহ একাধিক ব্যাক্তি বলেন, সব ধরনের সবজির দাম বেড়েছে। এটা পাইকারি বিক্রেতাদের কারসাজি। বাজার তো সাধারণ মানুষের নাগালের বাইরে চলে যাচ্ছে। বাজার ঘুরে দরদাম সম্পর্কে ক্ষোভ প্রকাশ করে তারা বলেন, বাজারে ৫০ থেকে ১২০ টাকা কেজির নিচে কোনো সবজি নেই। এ বছর এ সময়ে সবজির দাম অনেক বাড়তে শুরু করছে। এ ছাড়া মরিচের দাম, বেগুনের দাম, মিষ্টি কুমড়ার দাম, পেঁয়াজের দাম ও আলুর দাম না কমিয়ে বরং বৃদ্ধি পেয়েছে। নিম্ন আয়ের মানুষের জীবন চলা খুব কঠিন হয়ে গেছে। উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও ভ্রাম্যমাণ আদালতের এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট অমিত কুমার বিশ্বাস বাজারের পরিস্থিতি নিয়ে বলেন- বাজার মনিটরিং চলমান আছে। সরকারের বেঁধে দেয়া দরদামের গরমিল হলে জড়িত ব্যক্তির বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।