নীলফামারী সদর উপজেলাসহ অন্যান্য উপজেলার হাটবাজারে সবজির দামে আগুন লেগেছে। প্রতিদিন বেড়েই চলেছে দাম আর এতে চরম বিপাকে পড়েছে মধ্য থেকে নিম্নমধ্যবিত্ত পরিবারের লোকজন। নিত্যপ্রয়োজনীয় আলু থেকে শুরু করে কচু পর্যন্ত দাম আকাশছোঁয়া। সাধারণ মানুষের খাদ্যতালিকা থেকে কাটছাঁট করে কোনোরকম সবজি দিয়ে চালিয়ে দিচ্ছেন তিনবেলা খাবার।
সৈয়দপুর পৌরসভার সবজি বাজারের তিন ভাই আরত, চৌমুহনী বাজার, পোড়ারহাটে গত তিন চারদিনের ব্যবধানে সবজির দাম বৃদ্ধি পেয়েছে প্রতি কেজিতে ১০ থেকে ২০ টাকা শুধুমাত্র আলু কেজি প্রতি ২ টাকা থেকে ৩ টাকা বৃদ্ধি হয়েছে। কাঁচা মরিচ টাটকা ২৬০ টাকা থেকে ২৮০ টাকা, কালো কুচকে ২৪০ টাকা, বেগুন ৬০ টাকা থেকে ৭০ টাকা, মুলা ৫০ থেকে ৭০ টাকা, পেঁয়াজ ১০৫ থেকে ১১০টাকা, আদা ২০০ থেকে ২২০ টাকা, রশুন ১৯০ থেকে ২২০ টাকা, লাউ প্রতিটি ৫০ টাকা, পটল ৬০ থেকে ৮০ টাকা, শশা ৫০ থেকে ৬০ টাকা, কায়তা ৪০ থেকে ৬০ টাকা, কচুর লতি ৭০ টাকা। নীলফামারীর জলঢাকা ও ডোমার বাজারের একাধিক ব্যবসায়ী জানান, গত তিন চারদিনের ব্যবধানে সব সবজির দাম বৃদ্ধি পেয়েছে। পাবনা, তাহেরপুর, রাজশাহী, খুলনার আরৎ থেকে বেশি দামে কেনায়, এখানে বেশি দামে বিক্রি করতে হচ্ছে। নীলফামারী ঢেলাপীর বাজারের ব্যবসায়ী কাসেম জানান, আগে আমি ঢাকায় অটোরিকশা চালাতাম কিন্তু দুর্ঘটনায় পায়ে আঘাত পাওয়ার কারণে সৈয়দপুর এসে ঝাল মুড়ি ও চটপটি বিক্রি করি আগে দেড়শ টাকায় সংসার খরচ হয়ে যেতো কিন্তু এখন দেড়শো টাকার শুধু কাঁচাবাজার লাগে।
নীলফামারী সাহেব বাজারে ক্রয় করতে আসা কলোনির গৃহিণী শাহনাজ, জুম্মা পাড়ার লাকি বেগম বলেন, বেশিরভাগ লোক দৈনিক শ্রমিক, যা আয় করে তাই দিয়ে সবজি খাওয়া দুষ্কর হয়েছে। নীলফামারীর কিচেন মার্কেটে আসা একজন স্কুলশিক্ষক বলেন, প্রশাসনের পক্ষ থেকে নিয়মিত বাজার পর্যবেক্ষণ না থাকায় সবজির বাজার আকাশচুম্বী হয়েছে, তাদের কারণে এখন একটা তরকারি দিয়ে খাবার খাচ্ছি।
বাজারের এইরকম অবস্থা যদি চলতে থাকে তাহলে নিম্নআয়ের মানুষেরা কিভাবে বাঁচবে বলে জানান রিকশাচালক মজিদুল মিয়া।