স্থানীয় জনসাধারণ এবং পানি উন্নয়ন বোর্ডের টেকনিশিয়ানদের মতামতের ভিত্তিতে মহারশি নদীতে স্থায়ী বেড়িবাঁধ নির্মাণ করা হবে বলে মন্তব্য করেছেন পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব নাজমুল আহসান। গতকাল শনিবার শেরপুরের ঝিনাইগাতীতে পাহাড়ি ঢলে মহারশি নদীর বেড়িবাঁধ ভেঙে যাওয়া বিভিন্ন ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শন শেষে তিনি এ কথা বলেন। তিনি আরো বলেন, আমি এসেছি, শেরপুরে পাহাড়ি ঢলে পানি উন্নয়ন বোর্ডের আওতায় যে বাঁধগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, তা দেখার জন্য। স্থানীয়দের মতামত জানলাম। স্থানীয়দের মতামত এবং আমাদের টেকনিশিয়ানদের মতামত নিয়ে এই নদীতে স্থায়ী বেড়িবাঁধ নির্মাণ করা হবে। এসময় পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব এনায়েত উল্লাহ, প্রধান প্রকৌশলী আসাদুজ্জামান, জেলা প্রশাসক তরফদার মাহমুদুর রহমান, নির্বাহী প্রকৌশলী নকিবুজ্জামান খাঁন, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আশরাফুল আলম রাসেল, সহকারি কমিশনার (ভুমি) অনিন্দিতা রানী ভৌমিক, উপজেলা প্রকৌশলী শুভ বসাক, কৃষি কর্মকর্তা হুমায়ুন দিলদার, প্রাণি সম্পদ কর্মকর্তা ডা: এ.টি.এম ফয়জুর রাজ্জাক আকন্দ, প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা রাজিবুল ইসলামসহ জেলা ও উপজেলার বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা ও জনপ্রতিনিধিগণ উপস্থিত ছিলেন। উল্লেখ, গত ৪ অক্টোবর অবিরাম বর্ষণ আর ভারত থেকে নেমে আসা আকস্মিক পাহাড়ি ঢলে ৪ নদীর পানি বিপদসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়। এতে শেরপুর সদর উপজেলার একাংশসহ ঝিনাইগাতী, নকলা, নালিতাবাড়ী ও শ্রীবরদী উপজেলাসহ প্লাবিত হয় প্রায় পুরো জেলা। রাক্ষসী এই ঢলে শতশত ঘরবাড়ী, রাস্তাঘাট, বিভিন্ন ফসলের আবাদ, পুকুরের মাছের ব্যাপক ক্ষতি হয়। এতে সব মিলিয়ে ক্ষতি হয়েছে প্রায় এক হাজার কোটি টাকা।