মাঠে বাতাসে দুলছে আমন ধানের সবুজ পাতা। সেই সঙ্গে দোল খাচ্ছে কৃষকের রঙিন স্বপ্ন। মাস খানেক পরেই সোনালি ধানের শীষে ঝলমল করবে মাঠের পর মাঠ। তারপর শূন্য গোলা ভরে উঠবে ধানে। কিন্তু হঠাৎ ধানের বাদামী গাছ ফড়িং, পাতামোড়ানো রোগ ও মাজরা পোকার আক্রমণে কৃষক হতাশ হয়ে ফলন বিপর্যয়ের শঙ্কায় চিন্তিত তখন ঈশ্বরদী উপজেলা কৃষি অফিস থেকে ধানের জমির পাশে আলোক ফাঁদ বসিয়ে কোন ধরনের ক্ষতিকর পোকা মাঠে আছে, তা শনাক্ত করে কীটনাশক প্রয়োগ করতে পরামর্শ দিচ্ছেন। যা কৃষকদের ক্ষতিকর পোকা দমনে সাড়া জাগাচ্ছে। উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, কৃষকদের সচেনতা করতে আমন ধানের ক্ষতিকর পোকা দমনে উপজেলার ১৪০টি এলাকায় আলোক ফাঁদ বসিয়ে আমন ধানের জমির পোকা শনাক্ত করে কীটনাশক প্রয়োগের লক্ষ্যমাত্রা ধরে এরই মধ্যে ৫৯টি এলাকায় কৃষক সমাবেশ করে পোকা শনাক্ত করে কীটনাশক প্রয়োগ করার পরামর্শ দেয়া হয়েছে। গত শনিবার উপজেলার সাঁড়া ইউনিয়নের গোপালপুর উত্তরপাড়া এলাকায় কৃষক মজিবর রহমান খাঁর আমন ধানের জমির পাশে কৃষক সমাবেশ করে আলোক ফাঁদ বসিয়ে আমন ধানের ক্ষতিকর পোকামাকড় শনাক্তের প্রক্রিয়া দেখানো হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন উপজেলার অতিরিক্ত কৃষি অফিসার মাহমুদা মুতমাইন্না। বক্তব্য রাখেন উদ্ভিদ সংরক্ষণ অফিসার এখলাছুর রহমান, মাজদিয়া ব্লকের উপ-সহকারী কৃষি অফিসার সিরাজুল ইসলাম ও আড়মবাড়িয়া ব্লকের উপ-সহকারী কৃষি অফিসার আব্দুল আলিম। ঈশ্বরদী উপজেলা কৃষি অফিস কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, উপজেলার দাশুড়িয়া, মুলাডুলি সাড়া, লক্ষ্মীকুন্ডা ও পৌর এলাকায় বেশি আমন ধানের আবাদ করা হয়। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় এ উপজেলায় চলতি মৌসুমে ৩ হাজার ৬ শত ৬০ হেক্টর জমিতে আমন ধানের আবাদ করা হয়েছে। কয়েক দফা অতি বৃষ্টির কারণে ধানের জমিগুলোতে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হওয়ায় নানা ধরনের পোকার আক্রমণ শুরু হয়। এ বিষয়ে কৃষকদের আগাম সতর্কতা হিসেবে আলোক ফাঁদ বসিয়ে আমন ধানের ক্ষতিকর পোকা শনাক্ত করে কীটনাশক প্রয়োগ করতে কৃষকদের পরামর্শ দেয়া হচ্ছে।