চাঁদপুরের হাইমচরে ফাতেমা আক্তার সামিয়া (৯) নামে তৃতীয় শ্রেণিতে পড়ুয়া শিশুকে নুপুর কিনে দেয়ার লোভ দেখিয়ে অপহরণ করে হত্যার চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় সুফিয়া বেগম (৩৮) নামে নারীকে স্থানীয় লোকজন আটক করে সদর মডেল থানা পুলিশে সোপর্দ করে। উপজেলার গন্ডামারা সরকারি বিদ্যালয়ের সামনে থেকে অপহরণ হয় শিশুটি। শিশু সামিয়া গন্ডামারা গ্রামের হাজী বাড়ীর প্রবাসী মো. খোকন হাজীর মেয়ে এবং ১৯ নম্বর উত্তর গন্ডামারা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী। অভিযুক্ত সুফিয়া বেগম একই গ্রামের মুন্সী বাড়ির হোসেন মুন্সীর স্ত্রী। খোঁজ নিয়ে জানাগেছে, গত সোমবার সকাল ১০টায় গন্ডামারা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনে থেকে শিশু সামিয়াকে নুপুর কিনে দেয়ার কথা বলে ওই নারী অটোরিকশা করে চাঁদপুর সদর উপজেলার বাখরপুর এলাকায় নিয়ে যায়। সেখানে গিয়ে মহিলা শিশুটির কানে থাকা স্বর্ণের দুল খুলতে চাইলে শিশুটি অটোরিকশা থেকে নেমে দৌড় দেয়। মহিলাও পিছন থেকে দৌড়ে গিয়ে ধরে কানের দুল চিনিয়ে নেয়ার চেষ্টা করে।
মেয়েটি চিৎকার দিলে তার মুখ কাঁদা মাটিতে চেপে ধরে হত্যার চেষ্টা করে। ঘটনাস্থল এলাকায় আরেক অটোরিকশা চালক মো. জয়দুল শিশুর কান্নার শব্দ শুনে এগিয়ে যায় এবং শিশুটিকে সেখান থেকে উদ্ধার করে। লোকটির চিৎকারে আশপাশের লোকজন এসে মহিলাটিকে আটক করে রাখে। পরে ঘটনাস্থলে চাঁদপুর সদর মডেল থানা ও হাইমচর থানার পুলিশ এসে শিশু ও মহিলাকে চাঁদপুর মডেল থানায় নিয়ে যায়। ঘটনাস্থল এলাকার লোকজন জানায়, ধারণা করা হচ্ছে স্বর্নের কানের দুলের লোভে মহিলা ওই শিশুকে হত্যার চেষ্টা করে। ওই সময় অটোরিকশা চালক উপস্থিত না হলে ফুটফুটে শিশুটি প্রাণ হারাত। মহিলার কঠিন শাস্তি হওয়া প্রয়োজন। অপহরণের শিকার শিশু সামায়িা জানায়, সে স্কুলের বারান্দায় আসলে ওই মহিলা আমাকে আম্মুর কথা বলে বাহিরে ডেকে নিয়ে যায়। আম্মুকে না দেখে আমি চলে যাইতে চাইলে উনি আমাকে বলে তোমার আম্মু তোমাকে নুপুর কিনে দিবে। আমাকে বলেছে তোমাকে বাজারে নিয়ে যেতে। পরে তিনি আমাকে অটোরিকশা করে বাজারের দিকে নিয়ে যায় এবং অটোরিকশাতে আমার কানের দুল খোলার চেষ্টা করে। আমি অটোরিকশা থেকে নেমে দৌড় দিলে তিনি পিছন দিক থেকে এসে আমার মুখ মাটিতে পা দিয়ে চাপ দিয়ে ধরে। আমি চিৎকার দিলে লোকজন এসে আমাকে উদ্ধার করে। চাঁদপুর সদর মডেল থানার ওসি বাহার মিয়া বলেন, ওই নারী থানা হেফাজতে আছে। তাকে ঘটনার বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে পরবর্তী আইনী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। শিশুকে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।