মুন্সীগঞ্জের ডাকাত বাবলা বাহিনীর প্রধান বাবলাকে বাড়িতে ঢুকে গুলি করে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। গজারিয়া উপজেলার ইমামপুর ইউনিয়নের মল্লিকের চর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
ওই এলাকার এক প্রত্যক্ষদর্শীরা বলেন- গতকাল মঙ্গলবার সকালে গরুর ঘাস কাটার জন্য নৌকা নিয়ে বাবলার বাড়ির সামনে দিয়ে যাচ্ছিলাম। এ সময় দেখি দুটি স্পিডবোড ও দুটি ইঞ্জিনচালিত ট্রলার নিয়ে হেলমেট পরে ২০ থেকে ২৫ জন লোক বাবলার বাড়ির সামনে এসে নামে। এ সময় তারা গুলি করে আতঙ্ক ছড়াতে থাকে। তারা বাবলার পাকা ভবনের দোতলায় উঠে বাবলাকে গুলি করে পালিয়ে যায়। ওই বিল্ডিংয়ের দরজা বন্ধ করে ৯ জনকে আটক করে স্থানীয়রা। আটকরা সবাই বাবলা ডাকাতের সহযোগী। তারা হলেন- মুন্সীগঞ্জের কুমারভোগ এলাকার মৃত আব্দুল বারেক পুত্র দীন ইসলাম, লৌহজং উপজেলার উত্তর জশলদিয়া মৃত রবু শেখের ছেলে আজিজুল শেখ, মুন্সীগঞ্জ সদর উপজেলার চর আব্দুল্লা গ্রামের হেলাল উদ্দিন সরকারের ছেলে আব্দুল খালেক, বরগুনা জেলার কলাগাছিয়া বাজার গ্রামের মৃত মালেক শিকদারের হাসান, মুন্সীগঞ্জ সদর উপজেলার বাংলাবাজার এলাকার মৃত ইয়াছিনের ছেলে বাবু, সরদার কান্দি এলাকার দুলু মিয়ার ছেলে মুন্না, চাঁদপুর জেলার উত্তর মতলবের মোহনপুর এলাকার ইউসুফ খালাসীর পুত্র সাকিব, বরিশাল জেলার মেহেদীগঞ্জ থানার ঘাসুরিয়া এলাকার মো. শাকিল, মুন্সীগঞ্জ সদরের আশুলিয়া চরের বাহাউদ্দিনের পুত্র মেহেদী হাসান।
স্থানীয় ইউপি সদস্য জসিম বলেন, ‘মল্লিকের চর এলাকায় অবৈধভাবে বালু উত্তোলন নিয়ে বাবলার সঙ্গে অন্য একটি গ্রুপের দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলছিল। ইউপি সদস্য জসিম আরো বলেন, নিহত বাবলা ওরফে উজ্জল চাঁদপুর জেলার উত্তর মতলব থানার মোহনপুর গ্রামের বাচ্চু খাঁর ছেলে।
তিনি মুন্সীগঞ্জের গজারিয়া উপজেলার মল্লিকের চর রহিম বাদশার বাড়িতে থেকে দীর্ঘদিন ধরে গজারিয়া, মুন্সীগঞ্জ সদর, চাঁদপুর এলাকায় বালু মহল নিয়ন্ত্রণ করতেন। গজারিয়া থানার ওসি মাহবুবুর রহমান বলেন, নিহত বাবলার বিরুদ্ধে গজারিয়া থানাসহ বিভিন্ন থানায় ৩২টি ডাকাতি ও চাঁদাবাজি মামলা রয়েছে। এঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।