দিনাজপুরের বোচাগঞ্জ উপজেলায় মাল্টা চাষের ব্যাপক সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। আগামী দুই থেকে তিন বছরের মধ্যে উৎপাদিত মাল্টা বোচাগঞ্জবাসীর চাহিদা পূরণ করে রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় রপ্তানি করবে এমনটাই ধারণা করছে উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অফিস।
বোচাগঞ্জ উপজেলার সেতাবগঞ্জ সরকারি পাইলট মডেল উচ্চ বিদ্যালয়ের সাবেক প্রধান শিক্ষক ইশানিয়া ইউনিয়নের বাড়েয়া গ্রামের বাসিন্দা কমলা ও মাল্টা চাষি বিশ্বনাথ রায় বলেন, প্রতিবছরই আমি স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে দেশের বিভিন্ন স্থানে কমলা ও মাল্টা বিক্রি করে থাকি। প্রতি সিজনে আমার কমলা বাগান দেখতে দূর-দূরান্ত থেকে লোক জন আসে। খানপুর গ্রামের মাল্টাচাষি আজাহারুল ইসলাম বলেন, দুই বছর পূর্বে উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তার পরামর্শে ২০শতক জমিতে বারি-১ জাতের ৬০টি মাল্টার গাছ রোপন করি। তার পরামর্শ অনুযায়ী গাছের পরিচর্চা শুরু করি। বর্তমানে ফলন ভালো হওয়ায় নিজের চাহিদা মিটিয়ে বাজারে বিক্রি করছি এসব মাল্টা। সুস্বাদু এই মাল্টার প্রতি আগ্রহ মানুষের।
খুব সহজেই বাজারে বিক্রি হয়ে যাচ্ছে। আগামীতে আরো ৬০ শতাংশ জমিতে মাল্টা চাষ করার পরিকল্পনা হাতে নিয়েছি।
উপজেলা কৃষি বিভাগ জানান, ফলের চাহিদা পূরণে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। গত দুই বছর পূর্বে রাজস্ব খাতের আওতায় উপজেলার ৬টি ইউনিয়নে প্রথম মাল্টা চাষ শুরু করা হয়। বোচাগঞ্জ উপজেলায় মাল্টা চাষ দিন দিন সম্প্রসারিত হচ্ছে। আশা করছি আগামী ২-৩ বছরের মধ্যে উৎপাদিত মাল্টা বোচাগঞ্জবাসীর চাহিদা পূরণে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখবে।