কক্সবাজারে গণ-আন্দোলনে হত্যা ও হামলার তিন মামলায় জামিন প্রাপ্ত জেলা আওয়ামী লীগ নেতা মাসেদুল হক রাশেদকে শ্যোন অ্যারেস্ট দেখানো হয়েছেন। গত মঙ্গলবার জামিন প্রাপ্তির পর রাতে শ্যোন অ্যারেস্ট দেখিয়ে তাকে মুক্তি দেয়া হয়নি। বর্তমানে তিনি চট্টগ্রাম কারাগারে রয়েছেন। কক্সবাজার জেলা কারাগারের জেল সুপার মো. শাহ আলম খান এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, একটি হত্যা ও দুটি হামলার মামলায় ১৮ সেপ্টেম্বর থেকে কারাগারে রয়েছেন মাসেদুল হক রাশেদ। তিনটি মামলায় গত মঙ্গলবার জামিন পান তিনি।
জামিনের পর কারামুক্তির প্রক্রিয়া চলা অবস্থায় ১০ অক্টোবর দায়েরকৃত গত ১৬ জুলাই কক্সবাজার কলেজের সামনে আন্দোলনকারীদের ওপর হামলার রাশেদকে শ্যোন অ্যারেস্ট দেখানো হয়। যার কারণে আর কারামুক্তি দেয়া যায়নি। অন্যদিকে মাসেদুল হক রাশেদসহ ৩১ আসামি জামিনের প্রতিবাদে ফ্যাসিস্টদের দোসর বিচারকদের অপসারণ ও জামিনে সহায়তাকারী বিএনপি-জামায়াতের কতিপয় আইনজীবীর শাস্তি দাবি, ছাত্র জনতার ঘোষিত ৫ দফা দাবি বাস্তবায়নের দাবিতে কক্সবাজারে আদালত ঘেরাও এবং ছাত্র জনতার গণ জমায়েত করে। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। কক্সবাজার জেলা শাখার ব্যানারে গতকাল বুধবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত কক্সবাজার আদালত চত্বরে এ গণ জমায়েত অনুষ্ঠিত হয়। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন কক্সবাজার জেলা শাখার নেতারা অবিলম্বে তাদের ৫ দফা দাবি বাস্তবায়নের আহ্বান জানান। আদালত ঘেরাও চলাকালে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কর্মীরা বিভিন্ন স্লোগান দিয়ে তাদের দাবি মেনে নেয়ার আহ্বান জানান।
এ সময় সমন্বয়করা বক্তব্য রাখেন। একই সঙ্গে এসব কর্মসূচির সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করে বক্তব্য রাখেন আইনজীবীরাও। তারা বলেন, এখনো শহীদ ছাত্র-জনতার রক্তের দাগ শুকায়নি। কিন্তু আপনারা বিএনপি-জামায়াতের আইনজীবীরা স্বেরাচারের দোসর খুনি-হামলাকারীদের জামিন করাচ্ছেন। এই বেঈমানী ছাত্ররা মেনে নেবে না। একই সঙ্গে খুনি ও দোসরদের জামিন মঞ্জুরকারী বিচারকদের ক্ষমা হবে না। তাদেরকে অতিসত্বর অপসারণ করতে হবে। গণ-জমায়েত ও বিক্ষোভ সমাবেশে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, সমন্বয়ক সাহিদুল ওযাহিদ সাহেদ, রবিউল হোসেন, তাজদিজুর রেজা, জোনায়েদ হোসেন, সাগর ইসলাম, জিনিয়া শারমিন রিয়া, একরামুল হক, নবী জালাল, রিযাদ মনি। আইনজীবীদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, তাহের সিকদার, মুহাম্মদ। আবু সিদ্দিক ওসমানী, আবিদুর রহমান, সম্যক দৃষ্টি বড়ুয়া, ইসমাইল হোসেন, ফয়সাল মোশাররফ ও মিজান ভুট্টো।