মেধাবী শিক্ষার্থী রমজান আকন্দ (২১)। স্বপ্ন ছিলো ইঞ্জিনিয়ার হয়ে বাবা-মায়ের মুখ উজ্জ্বল করবেন। সেই স্বপ্ন বাস্তবায়নে মাত্র ২২ দিন আগে গাজীপুর এলাকার একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে চাকরিতে যোগদান করেন। সেখানেই থাকাবস্থায় আত্মহত্যা করেছে বলে জানিয়েছেন ওই যুবকের ভগ্নিপতি জুনাইদ মিয়া। গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে গাইবান্ধার সাদুল্লাপুর উপজেলার জামালপুর ইউনিয়নের বড় জামালপুর গ্রামের বাড়িতে রমজান আকন্দের লাশ পৌঁছাচ্ছে স্বজনরা। এসময় পরিবার ও এলাকাবাসীর মাঝে শুরু হয় শোকের মাতম। রমজান আকন্দ ওই গ্রামে হাবিবুর রহমান ঠান্ডার ছেলে ও জামালপুর ইউনিয়নের ৮নম্বর ওয়ার্ড ছাত্রদলের সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক। স্বজনরা জানায়, রমজান আকন্দ বেশ মেধাবী ছিলেন।
এরইমধ্যে কুড়িগ্রাম পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট থেকে ডিপ্লোমা ইন ইঞ্জিনিয়ারিং কোর্স সম্পন্ন করেছেন। এরপর ছাত্রজীবন পাড়ি দিয়ে শুরু করেন কর্মজীবন। গত ২২ দিন আগে গাজীপুরের একটি ল্যাবে মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে চাকরিতে যোগদান করেন। সেখানকার ভাড়া বাসায় গত ২১ অক্টোবর দিনগত রাতের যে কোনো সময় গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন। এরপর রমজান আকন্দের লাশ গতকাল গ্রামের বাড়িতে আনা হয়েছে।