চার সপ্তাহের এইচপিভি টিকাদান ক্যাম্পেইন শুরু
প্রকাশ : ২৫ অক্টোবর ২০২৪, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ
আলোকিত ডেস্ক
সাত বিভাগে (ঢাকা ব্যতীত) কিশোরীদের জরায়ুমুখ ক্যান্সার প্রতিরোধে বিনামূল্যে হিউম্যান প্যাপিলোমা ভাইরাস (এইচপিভি) টিকাদান কর্মসূচি গতকাল বৃহস্পতিবার থেকে শুরু হয়েছে। ক্যাম্পেইনে ৬২ লাখ ১২ হাজার ৫৩২ জন কিশোরীকে এইচপিভি টিকা দেয়ার লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে। সরকারের উদ্যোগে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও), ইউনিসেফ ও দ্য ভ্যাকসিন অ্যালায়েন্স-গ্যাভির সহায়তায় এই টিকাদান কর্মসূচি শুরু হয়
নওগাঁ : নওগাঁ সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় হলরুমে জেলা প্রশাসন ও জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয় এর আযোজন করে। সেখানে আলোচনা সভায় জেলা সিভিল সার্জন ডা. নজরুল ইসলামের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন জেলা প্রশাসক আব্দুল আউয়াল। এসময় সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার এসএম রবিন শীষ, জেলা তথ্য আবু সালেহ মাসুদুল ইসলাম, ডেপুটি সিভিল সার্জন ডা. মুনির আলী আকন্দ, মেডিক্যাল অফিসার আশিষ কুমার সরকার ও ডিস্ট্রিক্ট সার্ভিল্যান্স কর্মকর্তা জয়িতা সাহা, প্রধান শিক্ষক রাবেয়া খাতুন, প্রেসক্লাবের সভাপতি আবু বকর সিদ্দীকসহ অন্যরা বক্তব্য রাখেন। পরে শিক্ষার্থীদের টিকাদান কার্যক্রমের উদ্বোধন করা হয়।
দিনাজপুর : জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ জেলার ৩৫৪৪টি বিদ্যালয়ের ১০ থেকে ১৪ বছরের কিশোরী ছাত্রীদের মধ্যে এইচপিভি টিকাদান কার্যক্রম শুরু করেছে। সিভিল সার্জন ডাক্তার আসিফ ফেরদৌস জানান- জেলায় ১ লাখ ৬২ হাজার ৬৩৮ জন কিশোরী শিক্ষার্থীদের এক ডোজ করে এইচপিভি টিকা দেয়া হবে।
বাগেরহাট : বাগেরহাট সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে এই টিকাদান কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন জেলা প্রশাসক আহমেদ কামরুল আহসান। এসময়, বাগেরহাটের সিভিল সার্জন ডা. জালাল উদ্দিন আহমেদ, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা দীপঙ্কর দাশ, উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. প্রদীপ কুমার বকশিসহ স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মকর্তা, শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন। সিভিল সার্জন ডা. জালাল উদ্দিন আহমেদ বলেন, প্রতিবছর বাংলাদেশে বিপুল সংখ্যক নারী জরায়ুমুখের ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়। এর মধ্যে ৪ হাজার ৫১ জন নারী মারা যায়। তথ্য অনুযায়ী এক লাখ নারীর মধ্যে ১১ জন এই ক্যান্সারে আক্রান্ত। তবে জরায়ুমুখের ক্যান্সারের টিকা আবিষ্কার হয়েছে।
সাতক্ষীরা: জেলা স্বাস্থ্য বিভাগের আয়োজনে সাতক্ষীরা সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে এ ভ্যাকসিন ক্যাম্পেইনের উদ্বোধন করেন অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি সাতক্ষীরার জেলা প্রশাসক মোস্তাক আহমেদ। জেলার সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও ৮টি স্থায়ী টিকাদান কেন্দ্রসহ মোট ৫ হাজার ৩০৭টি কেন্দ্রে ৯৪ হাজার টিকা প্রদান করা হচ্ছে। জেলায় স্থায়ী টিকাদান কেন্দ্রের সংখ্যা ৮টিসহ মোট কেন্দ্রের সংখ্যা ৫৩০৭টি। এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন- সাতক্ষীরার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সজীব খান, সিভিল সার্জন ডা. আব্দুস সালাম, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শোয়াইব আহমেদ প্রমুখ।
কাউখালী (পিরোজপুর) : উপজেলার সদর ইউনিয়নের আইরন জয়কুল মোদাচ্ছের মেমোরিয়াল মাধ্যমিক বিদ্যালয় ক্যাম্পে টিকাদান কর্মসূচির উদ্বোধন করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা স্বজল মোল্লা। টিকা গ্রহণ করার পূর্বে জন্ম নিবন্ধন দিয়ে অ্যাপসে রেজিস্ট্রেশন শেষ করে সকল স্তরের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পঞ্চম থেকে দশম শ্রেণির ছাত্রীদের অথবা ১০ থেকে ১৪ বছর বয়সি সব মেয়েদের টিকা কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করার আহ্বান করা হয়েছে।
শালিখা (মাগুরা) : উপজেলা সদর আড়পাড়া মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে এই অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে টিকা দান ক্যাম্পেইন কর্মসূচির উদ্বোধন করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হাসিনা মমতাজ। অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন, উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. সাইমুন নিছা। বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন- উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার শফিউল আলম, প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার আকবর হোসেন, উপজেলা বিএনপির আহবায়ক আনিচুর রহমান মিলটন মুন্সী, সদস্য সচিব মনিরুজ্জামান চকলেট, প্রধান শিক্ষক আবুল হোসেন, মাওলানা মোশারফ হোসেন কাসেমী প্রমুখ।