ঢাকা ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে আমন ধানের ফলনে বিপর্যয়ের আশঙ্কা

ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে আমন ধানের ফলনে বিপর্যয়ের আশঙ্কা

বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় দানার প্রভাবে নওগাঁর রাণীনগরে বুধবার বিকেল থেকে মুষলধারে বৃষ্টি আর ঝড়ো হাওয়ার প্রভাবে উপজেলা জুরে রোপা-আমন ধানগাছের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। পাইজাম জাতের ধান লম্বা হওয়ায় হাল্কা বাতাসেই জমিতে নুয়ে পড়েছে।

বৃষ্টিপাতের কারণে জমিতে পানি জমিয়ে থাকায় ধানের গোরালি থেকে কাঁদা মাটি অনেক অংসে সরে যাওয়ায় বাতাসে লম্বা জাতের ধানগুলো খুব সহসাই জমিতে নুয়ে পরছে। এতে করে ধানের ফলন বিপর্যয়ের আশংকা দেখা দিয়েছে।

কৃষি বিভাগের তথ্য মতে কৃষকেরা জমিতে বেশি পরিমাণ কীটনাশক সার প্রয়োগের কারণে অল্প বাতাসে ধানগুলো জমিতে নুয়ে পড়ছে। তবে ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাব কেটে গেলে রোদের গতি বৃদ্ধি পেলে ধানের ফলনে বিঘ্ন ঘটবে না বলে ধারণা করছেন এই কৃষিবিদ।

উপজেলার ৮টি ইউনিয়নে চলতি রোপা আমন মৌসুমে ১৮ হাজার হেক্টর জমিতে রোপা-আমন ধানের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হলেও প্রায় সাড়ে ১৮হাজার হেক্টর জমিতে ধান লাগানো হয়েছে। খাটো জাতের ধানগুলো বৃষ্টি ও বাতাসে তেমন ক্ষতি না হলেও লম্বা জাতের ধানের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। এরই মধ্যে অধিকাংশ জমিতে ৯০ ভাগ ধানের শীষ বের হয়েছে।

আগাম জাতের কিছু ধান আগামী সপ্তাহের শেষের দিকে কাটা-মাড়াই শুরু হতে পারে এমনটাই বলছেন কৃষি বিভাগ। হরিশপুর গ্রামের কৃষক আব্দুল আহাদ বলেন আমি ১২ বিঘা জমিতে ধান লাগিয়ছি তার মধ্যে ৪ বিঘা লম্বা জাতের ধান হাল্কা বাতাসেই জমিতে নূয়েপরেছে, বড়গছা গ্রামের কৃষক আব্দুল হামিদ ও মোবারক হোসেনের সাথে কথা বললে তারা জানান, আমাদের ধানগুলো অনেক ভালো হয়েছিলো, হঠাৎকরে ঘূর্ণিঝড় দানার প্রভাবে বৃষ্টি আর বাতাসের কারণে ধানগুলো জমিতে নূয়ে পরেছে। জানিনা শেষ পর্যন্ত ধানের ফলন কেমন হবে। উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ ফারজানা হক জানান, হঠাৎকরে দূর্যোগপূর্ন আবহাওয়ার কারণে উঠতি রোপা-আমন ধানের আংশিক ক্ষতি হওয়ার সম্ভবনা রয়েছে। গুড়িগুড়ি বৃষ্টি আর বাতাসের কারণে লম্বা জাতের ধানগুলো জমিতে নূয়ে পড়েছে। ঘূর্নিঝড়ের প্রভাব কেটে গেলে আকাশ পরিস্কার হলে আশা করছি ধানের তেমন ক্ষতি হবে না। এপর্যন্ত প্রায় ৩০ হেক্টর জমির ধান জমিতে নুয়ে পড়েছে। তবে এর পরিমাণ আরো বাড়তে পারে, বলছেন এই কৃষিবিদ।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত