নামাজরত নারীকে ছুরিকাঘাতে হত্যা
প্রকাশ : ২৬ অক্টোবর ২০২৪, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ
শরীয়তপুর প্রতিনিধি
শরীয়তপুরের ভেদরগঞ্জ উপজেলার সখিপুর থানার চরসেনসাস ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যানের স্ত্রীকে নামাজরত অবস্থায় ছুরিকাঘাতে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় বালাকান্দি এলাকায় নিজ বাড়িতে এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় লুৎফা বেগমের ছেলে মো. রাসেল বাদী হয়ে পান্না বেগমকে আসামি করে গতকাল শুক্রবার থানায় মামলা করেছেন। পুলিশ অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করে কোর্টে সোপর্দ করেছে। নিহত লুৎফা বেগম (৭৫) চরসেনসাস ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম বালার স্ত্রী। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় নিজ ঘরে একটি প্লাস্টিকের চেয়ারে বসে লুৎফা বেগম মাগরিবের নামাজ আদায় করছিলেন। এমতাবস্থায় পিছন থেকে প্রতিবেশী স্থানীয় তারাবুনিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের খন্ডকালিন শিক্ষিকা পান্না বেগম (৩২) নামে এক নারী তার গলায় ছুরিকাঘাত করে গভীর ক্ষত করে। তখন লুৎফার ছেলের বউ আফরোজা বেগম পাষন্ড পান্নাকে দেখে ফেললে দুজনের মধ্যে ধস্তাধস্তি হয় তৈরি হয়। স্থানীয় লোকজন চলে আসলে পান্না বেগম তার নিজের গলায় ছুরি দিয়ে আঘাত করে আহত হন। পরে স্থানীয়রা তাকে শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি করেন। তবে হত্যার রহস্য এখনো জানা যায়নি। এ ঘটনার আসল রহস্য উদঘাটন করার চেষ্টা করছে পুলিশ। এমন ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।
বালাকান্দি এলাকার বাসিন্দা মাহাবুব বালা বলেন, আমি ঘরে ঢুকে দেখি, আমার কাকি লুৎফা বেগম রক্তাক্ত অবস্থায় মাটিতে পড়ে আছেন। আর পাশেই পান্না বেগম চুপচাপ শুয়ে আছে, যেন কিছুই ঘটেনি। আমি আতঙ্কিত হয়ে দ্রুত বাহিরে চলে যাই এবং চিৎকার করতে থাকি। পরে জানতে পারি যে এই নৃশংস ঘটনাটি ঘটিয়েছে পান্না বেগম নিজেই। আমি ঘটনার তদন্ত সাপেক্ষে প্রকৃত ঘটনা উদঘাটনসহ এই হত্যাকাণ্ডের ন্যায়বিচার চাই। সখিপুর থানার ওসি ওবায়দুল হক বলেন, চরসেনসাস ইউনিয়নের রফিকুল ইসলাম বালার স্ত্রীকে ছুরিকাঘাতে হত্যার অভিযোগে বাদির মামলার পরিপ্রেক্ষিত পান্না বেগমকে গ্রেফতার করে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। এ বিষয়ে আমরা অধিকতর চালিয়ে যাচ্ছি। আরো কেউ জড়িত থাকলে তাদেরকেও আইনের আওতায় আনা হবে।