ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ডেন্টাল মেশিনটি বিগত প্রায় ১৫ বছর ধরে নষ্ট। ডেন্টাল সার্জন থাকার পরও মেশিনটি নষ্ট থাকায় দাঁতের চিকিৎসা থেকে বঞ্চিত হয়ে ফিরছেন বহিঃবিভাগে আগত রোগী সাধারণ। উপজেলায় একটি পৌরসভা ও ১১টি ইউনিয়নের প্রায় ৫ লাখ মানুষের চিকিৎসা সেবার একমাত্র ভরসাস্থল ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স। দাঁতের চিকিৎসা ব্যয়বহুল হওয়ার কারণে দরিদ্র রোগীরা সরকারি এ হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসেন। কিন্তু ডেন্টাল মেশিনটি নষ্ট থাকায় চিকিৎসা বঞ্চিত হয়ে তাদের ফিরে যেতে হচ্ছে। ফলে বেসরকারি চিকিৎসা কেন্দ্রে যেতে বাধ্য হচ্ছেন। এতে ভোগান্তিতে পড়েছেন দন্ত রোগীরা। এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ অবগত থাকলেও দীর্ঘদিন অতিবাহিত হলেও কোনো সুরাহা মিলছে না।
হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, ২০০৮ সালে ডেন্টাল ইউনিট মেশিনটি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে স্থান করা হয়। বছর পেরোতেই অকেজো হয়ে পরে মেশিনটি। এরপর ২০২০ সালে ততকালীন স্বাস্থ্য ও পঃ পঃ কর্মকর্তা ডা. মোহাম্মদ নূরুল হুদা খানের প্রচেষ্টায় মেশিনটি মেরামত করা হলে আবার অকেজো হয়ে পরে। তারপর থেকে অদ্যবধি মেশিনটি অকেজো অবস্থায় পড়ে আছে। স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের বহিঃবিভাগে প্রতিদিন ৩০/৪০ জন রোগী আসেন দন্ত চিকিৎসা সেবা নিতে। শুধুমাত্র দাঁত তোলা ও পরামর্শ নিয়েই ফিরে যেতে হচ্ছে তাদের। ডেন্টাল ইউনিটের সার্জন ডেন্টাল ডা. ইকবাল চন্দ্র দাস বলেন, আমি এ হাসপাতালে যোগদান করেছি প্রায় ৫ বছর। শুনেছি আরো আগে থেকে ডেন্টাল মেশিন নষ্ট হয়ে পড়ে আছে। দাঁতের চিকিৎসা সার্জারি নির্ভর হওয়াতে পরিপূর্ণ চিকিৎসা সেবা দিতে গেলে যন্ত্রপাতি, জীবাণুমুক্ত করার সবকিছু ম্যাটেরিয়ালসের সঙ্গে থাকতে হবে। অন্যথায় অপারেটিভ ট্রিটমেন্টগুলো দেয়া সম্ভব হয় না। শুধুমাত্র ওষুধ লিখে দিয়ে যতটুকু করা যায়। এ ব্যাপারে ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. সাদিয়া তাসনিম মুনমুন বলেন, শুধু ডেন্টাল মেশিন নয়, আরো কিছু যন্ত্রাংশ মেরামতের চাহিদা দেয়া আছে। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ সুদৃষ্টি দিলে খুব অল্প সময়েই আপনাদের পরিপূর্ণ সেবা দিতে পারবো ইনশাআল্লাহ।