ঢাকা ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

ঐতিহ্যবাহী লাঠি খেলা দেখতে উপচেপড়া ভিড়

ঐতিহ্যবাহী লাঠি খেলা দেখতে উপচেপড়া ভিড়

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর উপজেলার কুড়িঘর গ্রামবাসীর উদ্যোগে গ্রামবাংলার ঐতিহ্যবাহী লাঠি খেলা অনুষ্ঠিত হয়েছে। গত শুক্রবার বিকালে কুড়িঘর উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে এ খেলা অনুষ্ঠিত হয়। এ খেলাটি দেখার জন্য নাটঘর ইউনিয়নসহ উপজেলার বিভিন্ন গ্রাম থেকে হাজার হাজার দর্শক উপস্থিত হন। ঢাক-ঢোল আর সানাইয়ের শব্দে চারপাশ আলোড়িত হয়।

বাদ্যযন্ত্রের তালে নেচে নেচে লাঠি খেলে নানা অঙ্গভঙ্গির মাধ্যমে বাঙালি সংস্কৃতি ও গ্রামীণ জনজীবনের নানা দিক প্রদর্শন করে লাঠিয়ালরা। তারপরই শুরু হয় লাঠির কসরত। প্রতিপক্ষের লাঠির আঘাত থেকে নিজেকে রক্ষা ও তাকে আঘাত করতে ঝাঁপিয়ে পড়ার অসাধারণ দৃশ্য দেখেন উপস্থিত দর্শকরা। দর্শকদের করতালি আর হৈ-হুল্লোড়ে আরো জাঁকজমকপূর্ণ হয়ে ওঠে লাঠি খেলার আসর। এ লাঠিখেলায় কুড়িঘর গ্রামের একটি লাঠিয়াল বাহিনী দল অংশগ্রহণ করেন। লাঠি খেলায় কুড়িঘর মাঠ কমিটির সভাপতি মো. নান্নু মিয়ার সভাপতিত্বে ও জাকির সরদার এর সঞ্চালণায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী আমেরিকা প্রবাসী মাহি এম কাউছার। উদ্বোধক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা বিএনপি নেতা ডা. মহি উদ্দিন মহিন। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, শিবপুর পুলিশ ফাঁড়ির এএসআই মেহেদী হাসান, নবীনগর থানা প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মমিনুল হক রুবেল, সাংগঠনিক সম্পাদক এসএম অলিউল্লাহ, কামাল মেম্বার প্রমুখ। কুড়িঘর লাঠি খেলার সরদার আব্দুল আহাদ বলেন, গ্রামবাংলার ঐতিহ্যবাহী লাঠি খেলা আজ বিলুপ্তির পথে। আমাদের অঞ্চলে বিভিন্ন ধরনের লাঠি খেলা রয়েছে। আগে গ্রামের সাধারণ মানুষ বাংলা বর্ষবরণ, বিবাহ, চড়ক পূজা, সুন্নতে খাৎনা ইত্যাদি উপলক্ষে লাঠি খেলার আয়োজন করতেন। এখন আর সেইভাবে আয়োজন করা হয় না।

অতিথিরা বলেন, ঐতিহ্যবাহী লাঠি খেলা বিলুপ্তি হওয়ার কারণে এর খেলোয়াড় সংখ্যাও দিন দিন কমে যাচ্ছে। তৈরি হচ্ছে না নতুন কোনো খেলোয়াড়। আর পুরনো অভিজ্ঞ খেলোয়াড়রা পূর্বের মত লাঠি খেলা দেখাতে পারছে না। তারপরও তারা এই বয়সে দারুণ খেলা দেখিয়েছেন। এই খেলার মাধ্যমে যুবসমাজ বিনোদন পেয়ে মাদক ছেড়ে এই খেলায় আগ্রহী হবে। তাই ঐতিহ্যবাহী এই লাঠি খেলা ধরে রাখতে বিনোদনের খোরাক জোগানোর জন্য সরকারের সুদৃষ্টি কামনা করছি।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত