ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগরে হাইব্রিড জাতীয় আগাম জাতের লাউ চাষ করে লাভবান হয়েছেন কৃষকরা। এবছর নবীনগরে প্রায় ১২০ হেক্টর জমিতে ডায়না, ময়না ও বাদশা হাইব্রিড জাতের লাউ চাষ করে লাভবান হয়েছেন কৃষকরা। এ সব হাইব্রিড লাউ প্রতি হেক্টরে উৎপাদিত হয় প্রায় ৪০-৫০ টন। বর্তমানে বাজারে গড়ে প্রতিটি মাঝারি আকারের লাউ বিক্রি হয়েছে ৮০-৯০ টাকা করে।
সে হিসেবে প্রতি বিঘা জমি থেকে কৃষক লক্ষাধিক টাকা আয় করতে পেরেছেন। উপজেলার কৃষ্ণনগর ইউনিয়নের সীতারামপুর গ্রামের কুদ্দুস মিয়া (৫৪) ১২ শতাংশ জমিতে লাউ চাষ করে এখন লাভবান। আগাম জাতের লাউ ভাদ্র মাসে চাষ করে এবং অন্য সময় এ জমিতে অন্য ফসল চাষ করে থাকেন। তা ছাড়া লাউয়ের পাতার ব্যাপক চাহিদা থাকায় তা বিক্রি করে আরো লাভবান হয়েছেন। জানা যায়, কৃষক কুদ্দুস মিয়া ১২ শতাংশ জমিতে ৫,৫০০ হাজার টাকা খরচ করে এ বছরে লাউ বিক্রি করতে পেরেছেন ৫০-৬০ হাজার টাকার মতো।
লাউয়ের পাতারও ভাল দাম পান তিনি। তিনি আরো জানান, লাউ চাষে তেমন রোগ-বালাই ও পরিশ্রম করতে হয় না। প্রথম দিকে জমি প্রস্তুত, বীজ রোপণ ও মাঁচা তৈরির সময় একটু পরিশ্রম করতে হয়। এ ছাড়া গাছ বড় হওয়ার পর তেমন শ্রম দিতে হয় না, শুধু নিয়মিত তদারকি করলেই হয়। এ ছাড়া কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগ রোগ ও পোকাণ্ডমাকড় দমনে প্রযুক্তিগত ভাবে সহযোগিতা প্রদান করে। চাষি মো. রশিদ জানান, তিনি অন?্যকে অনুসরণ করে এ বছর চার শতাংশ জমিতে লাউ চাষ করেন এবং কৃষি কর্মকর্তাদের পরামর্শে সঠিকভাবে খেতে সার-কীটনাশক দিয়েছেন তাতে ফলন ভাল হয়েছে। তিনিও প্রায় প্রতিদিন সকালে ৭০-৯০ টাকা করে প্রতিটি লাউ বিক্রি করে বেশ লাভ হয়েছেন।