১৫ বছর পর উপজেলা যুবদলের সমাবেশ
প্রকাশ : ৩০ অক্টোবর ২০২৪, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ
রাঙামাটি প্রতিনিধি
বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে কোনো ধরনের সভা সমাবেশ করতে না পারা রাঙামাটির লংগদু উপজেলা যুবদল দীর্ঘ পনের বছর পর সংগঠনটির ৪৬ বছর প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে সমাবেশ করেছে। প্রায় একযুগের বেশি সময় পর প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে গতকাল মঙ্গলবার বেলা ১১টায় মাইনীবাজার চত্ত্বর দলীয় নেতাকর্মীসহ লোকে লোকারন্য হয়ে উঠে। সকাল থেকে উপজেলার কালাপাক্কুজ্জা, ভাসান্যা আদম, আটারকছড়া ইউনিয়নসহ বিভিন্ন এলাকা থেকে মিছিল সহকারে অনুষ্ঠানস্থলে যোগ দেন। আলোচনা সভা শুরুর আগে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে জাতীয় সংগীতের মাধ্যমে জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়। এর আগে মাইনী বাজারে একটি র্যালি বের করা হয়। লংগদু উপজেলা যুবদলের আহবায়ক মো. জানে আলম এর সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় প্রধান বক্তা ছিলেন জেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক আবু সাদাৎ মো. সায়েম। প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা বিএনপির সিনিয়র সহ সভাপতি আবু নাছের। বিশেষ অতিথি ছিলেন লংগদু উপজেলা বিএনপির সভাপতি মো. তোফাজ্জল হোসেন। অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন রাঙামাটি জেলা বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক আব্দুল বারেক দেওয়ান, লংগদু উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ, জেলা যুবদলের সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক মো. নাজিম উদ্দিন, যুবদলের সাধারণ সম্পাদক মো. ইউছুপ, পৌর শহর যুবদলের সভাপতি মো. মোস্তফা, রাঙামাটি সদর উপজেলা যুবদলের সভাপতি মো. আনোয়ারসহ উপজেলা ও ইউনিয়ন নেতারা। সভায় বক্তারা বলেন, বিগত স্বৈরাচারী পতিত সরকারের আমলে এই উপজেলায় বিএনপি ও অংগ সংগঠনকে কোন সভা সমাবেশ করতে দেয়া হয়নি। আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের হুমকি ধমকি ও হামলাসহ হয়রানীমূলক মামলায় বিএনপির নেতাকর্মীরা মুখ খোলার সাহস পায়নি। গত ১৫ বছরের নির্যাতন, নিপীড়ন ছিল অসহনীয়। শেখ হাসিনা ছিল একজন সাইলেন্ট কিলার, সাইকোপ্যাথ। বিরোধী দলের দমনপিড়নে তিনি রক্তের হোলি দেখতে পছন্দ করতেন। বক্তারা বলেন, গত পনের বছর ধরে উপজেলার সর্বস্তরের নেতাকর্মীরা একটা আতংকের মধ্যে ছিল। আজকে তারা কোথায়, আমরা কোথায়। সাধারন মানুষের নাভিশ্বাস ও বদদোয়া স্বৈরাচারী আওয়ামী লীগের পতন হয়েছে। এই আওয়ামী লীগের শুধু পতন হলে হবে না, গনহত্যার দায়ে বিচার করে আওয়ামী লীগ ও অংগ সংগঠন চিরদিনের জন্য নিষিদ্ধ করতে হবে। তারা বলেন, বিএনপি মাটি মানুষের দল। বিএনপি এদেশকে ভালোবাসে বলেই এত নির্যাতন ও নিপীড়নে গনতন্ত্রের মানসকন্যা আপোষহীন নেত্রী বেগম খালেদা জিয়া দেশ ছেড়ে যাননি। আলোচনা সভা শেষে প্রতিষ্টা বার্ষিকী উপলক্ষে অসহায়, দরিদ্র ও সুবিধাবঞ্চিতদের নিয়ে ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প অনুষ্ঠিত হয়।