৫৫৪ কোটি টাকা ব্যয়
দ্রুত এগিয়ে চলছে যমুনার তীর সংরক্ষণ প্রকল্পের কাজ
প্রকাশ : ৩০ অক্টোবর ২০২৪, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ
এসএম তফিজ উদ্দিন, সিরাজগঞ্জ
সিরাজগঞ্জের কাজিপুরের যমুনা নদীর তীর সংরক্ষণ প্রকল্পের কাজ এগিয়ে চলছে। ৫৫৪ কোটি টাকা ব্যয়ে এ প্রকল্পের কাজ বাস্তবায়ন হচ্ছে। এ কাজ শেষ হলে ভাঙন থেকে রক্ষা পাবে নদী পাড়ের মানুষ। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, উক্ত উপজেলার যমুনা নদীর তীরবর্তী পাটাগ্রাম ও সিংড়া এলাকায় ভয়াবহ ভাঙন রোধে ২০২০-২০২১ অর্থবছরে নদীর তীর সংরক্ষণ ও মেরামত কাজে সংশ্লিষ্ট বিভাগ দরপত্র আহ্বান করে। এ দরপত্রের বিধিমতে ৫৫৪ কোটি টাকা ব্যয়ে এ প্রকল্প কাজে ৩১টি প্যাকেজে ঠিকাদার নির্বাচিত হয়। নির্বাচিত ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান নির্ধারিত সময়ে এ প্রকল্পের কাজ শুরু করে। স্থানীয়রা বলছেন, এ প্রকল্প কাজ শুরু থেকেই ধীরগতিসহ অবহেলা পরিলক্ষিত হয়েছে। এ বৃহৎ প্রকল্পের কাজ শেষ হলে ভয়াবহ ভাঙন থেকে রক্ষা পাবো। যমুনা তীরবর্তী অঞ্চলে বিভিন্ন ফসল চাষাবাদেও সুযোগের সৃষ্টি হবে। কিন্তু ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান করোনাসহ অনান্য কারণ দেখিয়ে প্রকল্পের কাজ বাস্তবায়নে একাধিকবার সময় বাড়িয়ে নেন। এ কারণে যথাসময়ে প্রকল্পের কাজ বাস্তবায়ন না হওয়ার আশংকা রয়েছে। এদিকে এ প্রকল্পের ৫.৫১০ কিলোমিটার যমুনা নদীর তীর সংরক্ষণ এবং ৩.৮০২ কিলোমিটার মেরামতের কাজে এ সময় বাড়ানো হয় এবং এ ছাড়াও বন্যাসহ নানা অজুহাতে বেশ কিছুদিন এ কাজ বন্ধ ছিল। পরবর্তীতে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান আবারো কাজ শুরু করেছে এবং তদারকি করছে স্থানীয় পানি উন্নয়ন বোর্ড। অবশ্য ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানকে সময় বাড়িয়ে দেয়া নিয়েও নানা প্রশ্নের সৃষ্টি হয়েছে। এ বিষয়ে স্থানীয় পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী (হেডকোয়ার্টার) নাজমুল হোসাইন আলোকিত বাংলাদেশকে বলেন, প্রকল্প কাজ বাস্তবায়নে নানা জটিলতার কারণে সময় বাড়ানো হয়েছে এবং নির্ধারিত সময়ে কাজ শেষ করার জোর চেষ্টা চলছে। যথানিয়মে স্থানীয় পাউবোর নির্বাহী প্রকৌশলীসহ ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ এ কাজ পরিদর্শন করেন। এ প্রতিবেদকের এক প্রশ্নাত্তরে তিনি আরো বলেন, কোনো অনিয়ম দুর্নীতির আশ্রয়ের প্রশ্নই ওঠেনা এবং এ প্রকল্প কাজে তদারকি ও কঠোর নজরদারি রাখা হচ্ছে। এরই মধ্যে এ প্রকল্প কাজে ৪৩১ কোটি টাকা ব্যয় হয়েছে। আগামী ২০২৫ সালের জুন মাসে এ বৃহৎ প্রকল্পের কাজ শেষ হবে বলে তিনি উল্লেখ করেন।