৫২ বিলের পানি ঢুকে আসা সেতুর মুখ বন্ধ করে দিলেন যশোরের কেশবপুর উপজেলার ২৭ বিলের কৃষকরা। গত সোমবার বিকালে ২৭ বিলের শত শত কৃষক সমবেত হয়ে পানি ঢুকে আসা কাজিয়াড়া সেতুর মুখ বন্ধ করে দেন। ৫২ বিলের পানি ঢুকে পড়ায় কেশবপুরের জলাবদ্ধ এলাকা সুফলাকাটি ইউনিয়নের নুতন নুতন এলাকা প্লাবিত হয়। ২৭ বিল পানি নিষ্কাশন কমিটির উদ্যোগে সেতুর মুখ বন্ধ করায় বিলের কৃষকের মনে আশা জেগেছে জলাবদ্ধতা নিরশনসহ ইরি বোরো মৌসুমে বিলে ধান আবাদ করা সম্ভব হবে। লাকাবাসী জানায়, যশোরের অভয়নগর ও মণিরামপুরের ৫২ বিলের পানি কোনাখোলা বাজারের উত্তর পাশের কাজিয়াড়া সেতুর নিচ দিয়ে ২৭ বিলে ঢুকে পড়ায় এলাকায় ভয়াবহ জলাবদ্ধতা শুরু হয়। বিল তলিয়ে গ্রামের মধ্যে ঢুকে ভয়াবহ জলাবদ্ধতা দেখা দেয়। গত সোমবার সকালে ২৭ বিল পানি নিষ্কাশন কমিটির উদ্যোগে এলাকার শত শত কৃষক সেতুর মুখ বন্ধ করতে গেলে উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। প্রশাসন ঘটনাস্থলে এলে উত্তেজনা বন্ধ হয়। পরে এলাকাবাসীর সহয়াতায় মণিরামপুর উপজেলার কাজিয়াড়া সেতুর মুখে বাঁধ দেয়ার কাজ গত সোমবার বিকালে শেষ করেন জলাবদ্ধ এলাকার কৃষকরা। কেশবপুর উপজেলার আডুয়া গ্রামের কৃষক সিরাজুল ইসলাম বলেন, কাজিয়াড়া সেতুর মুখ বন্ধ হওয়ায় তাদের এলাকায় আর পানি ঢুকে আসতে পারবে না। কানাইডাঙ্গা গ্রামের কৃষক মফিজুর রহমান বলেন, ২৭ বিলের কৃষকের মনে আশা জেগেছে এবার বিলে বোরো আবাদ সম্ভব হবে। কেশবপুর ২৭ বিল পানি নিষ্কাশন কমিটির সদস্য সচিব ও সুফলাকাটি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এসএম মুনজুর রহমান বলেন, মনিরামপুর ও অভয়নগর উপজেলার ৫২ বিলের পানি ঢুকে এসে ২৭ বিলে জলাবদ্ধতার পাশাপাশি তার ইউনিয়নের জলাবদ্ধ বেতিখোলা, নারায়নপুর ও কালীচরণপুরের নুতন নুতন এলাকাতেও ঢুকে পড়ে। পানিবন্দি এলাকার মানুষ ও ২৭ বিলের কৃষকরা সমবেত হয়ে ওই সেতুর মুখ বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নেয়। কাজিয়াড়া সেতুর মুখ বন্ধ হওয়ায় এখন ২৭ বিলের জলাবদ্ধতা নিরশনসহ আগামী ইরি বোরো মৌসুমে বিলে ধান আবাদ সম্ভব হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।