ঢাকা ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

পাখি রক্ষায় গাছে গাছে মাটির হাঁড়ি

পাখি রক্ষায় গাছে গাছে মাটির হাঁড়ি

পাখিদের নিরাপদ আশ্রয় তৈরিতে টাঙ্গাইলে গাছে গাছে মাটির হাঁড়ি স্থাপন করা হয়েছে। ‘পাখি পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা করে, এদের রক্ষায় এগিয়ে আসুন’ শীর্ষক প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে গতকাল বৃহস্পতিবার স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন বাতিঘর আদর্শ পাঠাগারের উদ্যোগে টাঙ্গাইল শহরের পৌর উদ্যান ও আশপাশের এলাকায় বিভিন্ন প্রজাতির গাছে অর্ধশতাধিক মাটির হাঁড়ি বসানো হয়েছে। এ কার্যক্রমে বাতিঘর আদর্শ পাঠাগারের প্রতিষ্ঠাতা মো. কামরুজ্জামানের নেতৃত্বে পাঠাগারের সদস্য শামীম আল মামুন, মনসুর হেলাল, সাজ্জাদ হোসেন, মো. জাহিদ হাসান, রাকিব হোসেন, শহীদ ইসলাম ও শামীমণ্ডশাহীন বিজ্ঞান একাডেমির শিক্ষার্থীরা অংশগ্রহণ করেন। বাতিঘর আদর্শ পাঠাগারের সদস্য জাহিদ হাসান বলেন, ‘পাখিদের নিরাপদ ঘর, আমাদের হাতের কামনা-সবাই মিলে গড়ে তুলি, প্রকৃতির সুন্দর মায়া!’ পাখিরা আমাদের পরিবেশের অপরিহার্য অংশ, তারা প্রকৃতির সৌন্দর্য এবং জীববৈচিত্র্যের একটি উল্লেখযোগ্য প্রতিনিধিত্ব। বাতিঘর আদর্শ পাঠাগারের প্রতিষ্ঠাতা মো. কামরুজ্জামান জানান, আমরা বইপাঠ কার্যক্রমের পাশাপাশি জীববৈচিত্র ও পরিবেশের সুরক্ষায় প্রতিবছর বৃক্ষরোপণ করে থাকি। এ ছাড়াও পাখিদের জন্য গাছে গাছে মাটির হাঁড়ি বসানোর উদ্যোগ নিয়েছি। ঝড়-বৃষ্টি, শীত থেকে সুরক্ষিত থাকার পাশাপাশি পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা ও প্রজননে পাখিদের সহায়ক ভূমিকা পালন করবে এসব মাটির হাঁড়ি। আমাদের এ উদ্যোগ ধীরে ধীরে পুরো উপজেলায় ছড়িয়ে দেয়ার প্রচেষ্টা থাকবে। আশা করি আমাদের এ উদ্যোগ অন্যান্য পাখিপ্রেমীদের উৎসাহিত করবে। প্রসঙ্গত ‘এসো বই পড়ি, নিজেকে আলোকিত করি’ স্লোগানকে সামনে রেখে টাঙ্গাইল সদর উপজেলার চৌরাকৌরা গ্রামে গত ২০১০ সালে গড়ে ওঠে বাতিঘর আদর্শ পাঠাগার। প্রতিষ্ঠার পর থেকে পাঠাগারটি গ্রামের মানুষের মধ্যে পাঠ্যাভাস তৈরি ও জ্ঞানভিত্তিক সমাজ বিনির্মাণে সেলুন, বাসস্ট্যান্ড ও স্টেশন অণুপাঠাগার স্থাপনসহ শিক্ষামূলক কর্মকাণ্ডের পাশাপাশি আর্তমানবতার সেবায় বিভিন্ন সামাজিক কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছে।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত