বেনাপোল বন্দরে শুঁটকি মাছের চালান জব্দ

প্রকাশ : ০১ নভেম্বর ২০২৪, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  বেনাপাল প্রতিনিধি

বেনাপোল বন্দরের ৩১ নম্বর সেড থেকে ফিশ মিলের ভিতরে ঘোষণা বহির্ভূত বিপুল পরিমাণ শুঁটকি মাছের চালান জব্দ করেছে কাস্টমস কর্তৃপক্ষ। পন্যচালানটি গত বুধবার দুপুরে জব্দ করেছে বেনাপোল বন্দরের ৩১ নম্বর সেড থেকে। কাস্টমস সূত্রে জানা গেছে, শামীম এন্টারপ্রাইজ নামে একটি আমদানি কারক প্রতিষ্ঠান ভারত থেকে ৫০ মেট্রিক টন ফিশ মিল ঘোষণা দিয়ে পণ্য চালানটি আমদানি করে। পণ্য চালানটি রপ্তানি করেন ভারতের ইনোভেটিভ নামে এক রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠান। চালানটি কাস্টম থেকে ছাড় করণের জন্য প্যারেন্টস ইন্টারন্যাশনাল বিজনেস সেন্টার নামে এক সি এন্ড এফ এজেন্ট বিল অব এন্ট্রি দাখিল করেছেন। পন্য চালানটি ভারতীয় তিনটি ট্রাকে বেনাপোল বন্দরে গত মঙ্গলবার সন্ধ্যার দিকে প্রবেশ করে। বেনাপোল কাস্টমসের পরীক্ষণ কর্মকর্তা সুপারেনটেনডেনট জাহিদুর রহমান জানান, গত বুধবার দুপুরে জাতীয় নিরাপত্তা গোয়েন্দা সংস্থার এর তত্ত্বের ভিত্তিতে বেনাপোল কাস্টমস কমিশনার নির্দেশ ক্রমে ফিশ মিল ঘোষণা দিয়ে আমদানি করা পন্য চালানটি পরীক্ষণ করা হয়। পরীক্ষণ করে তিনটি গাড়িতে ৫০ টন ফিশ মিলের মধ্যে ঘোষণা বহির্ভূত প্রায় ৭ টন শুঁটকি মাছ পাওয়া যায়। মিথ্যা ঘোষণা দিয়ে ফিশ মিলের ভিতরে শুঁটকি মাছ আমদানি করায় পন্য চালানটি সাময়িক জব্দ করা হয়েছে। ফিশ মিলের কোন শুল্ক কর দিতে হয় না। তবে শুটকি মাছের শুল্ককর ৫৮%। বেনাপোল কাস্টমস হাউজে প্রতি কেজি শুটকি মাছের শুল্কায়ন মূল্য ২ ডলার এবং শুল্কহার, ৫৮%। ঘোষণা বহির্ভূত শুঁটকি মাছের মূল্য ১৬ লাখ ৮০ হাজার টাকা। পন্য চালানটিতে ডিউটি ফাঁকি দেয়া হচ্ছিল প্রায় ৯ লাখ ৮৫ হাজার টাকা। পণ্য চালানে ঘোষণা বহির্ভূত শুঁটকি মাছ আমদানি করায় পন্য চালানটি সাময়িক জব্দ করা হয়েছে।

এ ব্যাপারে সি এন্ড এফ এজেন্ট প্রতিনিধি তারেক বাবুল জানান, আমদানিকৃত পণ্য চালানটি ফিশ মিল। এখানে কোনো শুঁটকি মাছ নেই। ল্যাবে পরীক্ষণ করলেই প্রমাণিত হবে এটা ফিশ মিল নাকি শুটকি মাছ? এখানে আমার বা আমার আমদানি কারকের কোন অপরাধ নাই। আমদানীকৃত পণ্যচালানে শুল্ক ফাঁকির কোনো প্রবণতা আমাদের নেই।

বেনাপোল কাস্টম হাউসের ডেপুটি কমিশনার অথেলো চৌধুরী জানান আমদানিকৃত ফিশ মিলের ভিতরে ঘোষণা বহির্ভূত শুঁটকি মাছ পাওয়াই পন্য চালানটি সাময়িক আটক করা হয়েছে। পন্য চালানে বিপুল পরিমাণে শুটকি মাছ পাওয়া গেছে। জব্দকৃত পণ্যচালনে প্রায় ১০ লাখ টাকা রাজস্ব ফাঁসি দেয়া হচ্ছিল। কাস্টমস আইন অনুযায়ী আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।