মেহেরপুর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এমএ খালেক ও যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক একেএম শফিকুল আলমকে আটক করেছে র্যাব-১২।
গত বুধবার ভোরে র্যাবের পৃথক টিম তাদের বাড়িতে অভিযান চালিয়ে গ্রেফতার করে। জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এমএ খালেক গাংনী উপজেলা পরিষদের সদ্য সাবেক চেয়ারম্যান এবং অ্যাডভোকেট একেএম শফিকুল আলম ২০০৯ সালে গাংনী উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছিলেন।
র্যাব-১২’র গাংনী ক্যাম্প সূত্রে জানা গেছে, বর্তমান সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ করার জন্য আইন শৃংখলা পরিস্থিতির অবনতি এবং ধ্বংসাত্মক কার্যকলাপ করার জন্য তারা দু’জন নিজ নিজ বাড়িতে আওয়ামী লীগ সমর্থীত লোকজন নিয়ে ষড়যন্ত্র করছিলেন। গোপন সুত্রে খবর পেয়ে তাদের বাড়িতে অভিযান চালানো হয়। এ সময় অন্যারা পালিয়ে গেলেও তাদের দু’জনকে আটক করা হয়। পরে তাদের গাংনী থানায় হস্তান্তর করা হয়।
গাংনী থানার ওসি বনী ইসরাইল বলেন, গাংনী পৌরসভার চৌগাছা গ্রামের জুলফিকার আলীর ছেলে রেজানুল হক ইমন বাদী হয়ে সন্ত্রাস বিরোধী আইনে নামীয় ৩৭ জনসহ অজ্ঞাত আরো ১০০ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন। মামলায় এমএ খালেক এজাহার নামীয় ও শফিকুল আলমকে অজ্ঞাত আসামি হিসেবে আদালতে প্রেরণ করা হলে আদালত আসামিদের জামিন না মঞ্জুর করে কারাগারে পাঠিয়েছেন। গত ৩০ জুলাই বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতারা ঢাকায় আন্দোলন চলাকালীন সময়ে নিহত ও আহত হওয়ার ঘটনায় উপজেলা শহীদ মিনারে মোমবাতি প্রজ্বলন করতে গেলে আসামিরা বাদীসহ তাদের সহযোগিদের উপর হামলা চালায় বলে অভিযোগ করা হয়। এই মামলায় জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আটক হয়েছেন।