ঢাকা ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

সংঘর্ষে নিহত এক, আহত অধর্শতাধিক

সংঘর্ষে নিহত এক, আহত অধর্শতাধিক

কিশোরগঞ্জের ভৈরবে দু’পক্ষের সংঘর্ষে একজন নিহত এবং অর্ধশতাধিক লোকজন আহত হয়েছে। উপজেলার সাদেকপুর ইউনিয়নের মৌটুপী গ্রামে গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে এই হতাহতের ঘটনা ঘটেছে। ৯ জনকে গুরুতর আহত অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। খরব পেয়ে পুলিশ ও সেনাবাহিনী ঘটনাস্থলে গেলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে।

স্থানীয়রা জানায়, সাদেকপুর ইউনিয়নের বর্তমান ইউপি চেয়ারম্যান সাফায়েত উল্লাহ ও সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান তফাজ্জল হকের লোকজনের মধ্যে দুই ঘণ্টাব্যাপী রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ হয়। এ সময় পুরো এলাকা রণক্ষেত্রে পরিণত হয়। এতে কাইয়ুম মিয়া নিহত হয়। নিহত কাইয়ুম বর্তমান ইউপি চেয়ারম্যান সাফায়েত উল্লাহর সমর্থক ছিলেন। জানা গেছে, মৌটুপি গ্রামে সরকার বাড়ির বর্তমান ইউপি চেয়ারম্যান এবং আওয়ামী লীগ নেতা মো. সাফায়েত উল্লাহ ও কর্তা বাড়ির সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান এবং বিএনপি নেতা মো. তোফাজ্জল হক গ্রুপের মধ্যে দীর্ঘ ৫২ বছর ধরে আধিপত্য বিস্তার ও পূর্বশত্রুতার জেরে প্রায় এক ডজন খুনের ঘটনা ঘটেছে। গত ঈদের পরদিন তোফাজ্জল হকের পক্ষের নাদিম মিয়া সরকার বাড়ির লোকজনের আঘাতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয়। এরই জের ধরে কয়েকদিন পর কর্তা বাড়ির লোকজনের হাতে সরকার বাড়ির ইকবাল খুন হন। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের কয়েকশ’ বাড়িঘর ভাঙচুর ও লুটপাট হয়েছে। দুটি খুনের ঘটনায় উভয় পক্ষের ২০০ আসামি করে পাল্টাপাল্টি মামলা হয়। এরইমধ্যে কর্তা বাড়ির নাদিম হত্যা মামলার আসামিরা আদালত থেকে জামিন পেয়ে বাড়িতে চলে এলেও সরকার বাড়ির ইকবাল হত্যা মামলার আসামিরা জামিন না নিয়ে বৃহস্পতিবার গ্রামের বাড়িতে আসলে সংঘর্ষের সৃষ্টি হয়। সংঘর্ষ চলাকালে উভয়পক্ষ দেশীয় অস্ত্র নিয়ে মাঠে নামলে কাইয়ূম মিয়া বল্লমের আঘাতে ঘটনাস্থলেই নিহত হন। এ সময় উভয় পক্ষের অন্তত অর্ধশতাধিক লোকজন আহত হন। এ ব্যপারে সরকার বাড়ির বর্তমান ইউপি চেয়ারম্যান সাফায়েত উল্লাহ বলেন, কর্তা বাড়ির নাদিম মারা গেলে আমাদের গোষ্ঠির কমপক্ষে দুইশ’ বাড়িঘর ভাঙচুর, লুটপাট ও আগুন পুড়িয়ে দেয়া হয়। ৫২ বছর যাবত তোফাজ্জল হক তার বংশের লোকজন নিয়ে আমাদের অত্যাচার-নির্যাতন করছে আসছে।আমার দুই ভাইকে তারা হত্যা করেছে। আজও আমার বংশের কাইয়ুমকে তারা হত্যা করলো। এ ঘটনার দৃষ্টান্তমুলক শাস্তির দাবি করেন তিনি। অপরদিকে প্রতিপক্ষ কর্তা বাড়ির সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান তোফাজ্জল হক বলেন, আজ আমার বংশের লোকজন পলাতক জীবন থেকে বাড়িতে গেলে সরকার বাড়ির লোকজন তাদের ওপর হামলা চালায়। ফলে সংঘর্ষের সৃষ্টি হয়। আমরা অত্যাচার-নির্যাতন করি না বরং সরকার বাড়ির লোকজনের অত্যাচারে আমরা অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছি। সংঘর্ষে একজন নিহতের সত্যতা নিশ্চিত করেন ভৈরব থানার ওসি আমজাদ হোসেন।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত