উখিয়ায় ড্রেজার দিয়ে বালু উত্তোলন

কক্সবাজারের উখিয়ার পালংখালীতে সরকারি বিধি নিষেধ অমান্য করে যত্রতত্রভাবে হাজার হাজার ঘনফুট বালু উত্তোলন করা হচ্ছে। প্রভাবশালী সিন্ডিকেট প্রকাশ্যে খালে ড্রেজার মেশিন বসিয়ে এহেন পরিবেশ বিধ্বংসী কর্মকাণ্ডে লিপ্ত রয়েছে। ফলে সরকার হারাচ্ছে লাখ লাখ টাকার রাজস্ব। স্থানীয়রা জানান, কোনো কিছু তোয়াক্কা না করে দুইটি খাল থেকে ইজারাবিহীন বালি উত্তোলন করছে প্রভাবশালীরা। রয়েছে একাধিক শক্তিশালী সিন্ডিকেট। মামলা জরিমানা কিছুই দমাতে পারছে না এসব প্রভাবশালীদের। অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের ফলে খালের তীব্র ভাঙনের পাশাপাশি পরিবেশ ধ্বংস হচ্ছে প্রতিনিয়ত। অবৈধভাবে বালি উত্তোলনে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছে গ্রামবাসীরা। সরেজমিন দেখা যায়, উখিয়া উপজেলার পালংখালী ইউনিয়নে দুটি বৃহৎ বালু মহাল রয়েছে। তার মধ্যে পালংখালী খালের বালুমহাল ও বালুখালী খালের বালি মহাল অন্যতম। সহকারী কমিশনার (ভূমি) সালেহ আহমেদ জানান, আইনি জটিলতার কারণে পালংখালী ইউনিয়নের খালের বালি মহালটি সরকারিভাবে নিলাম বা ইজারা বন্ধ রয়েছে। ইজারা বন্ধ থাকার কারণে বেআইনিভাবে কোনো খাল থেকে বালি উত্তোলনের কোন সুযোগ নেই। উপজেলা অফিস সূত্রে জানা গেছে, সহকারী কমিশনার (ভূমি) সালেহ আহমদের নেতৃত্বে বন বিভাগ ও পুলিশ যৌথ অভিযান চালিয়ে খাল থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনকালে ড্রেজার মেশিনসহ বিপুল পরিমাণ বালু জব্দ করে। উখিয়া রেঞ্জ কর্মকর্তা গাজী শফিউল আলম বলেন, অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের কোনো সুযোগ নেই। এরই মধ্যে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন কালে একাধিক বার অভিযান পরিচালনা করে বিভিন্ন সরঞ্জাম ও বালু জব্দ করা হয়েছে। এমনকি পরিবেশ ধ্বংসকারী বিরুদ্ধে বিভাগীয়ভাবে মামলাও করেছে বন বিভাগ।

সাবেক এক ইউপি সদস্য নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, পালংখালীতে খালে ৪টি ড্রেজার মেশিন বসিয়ে দিবারাত্রি বালু উত্তোলন করা হচ্ছে। সরকারি বিধি নিষেধ অমান্য করে যত্রতত্রভাবে বালু উত্তোলনের ফলে পালংখালী খালে ব্যাপক ভাঙন দেখা দিয়েছে। পালংখালী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এম গফুর উদ্দিন চৌধুরীর মতে আগামী বর্ষা মৌসুমে পালংখালী খালের দুইদিকের বেড়িবাঁধ বিলীন হয়ে বন্যায় পালংখালী তলিয়ে যাওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। পালংখালী খালের ভাঙন রোধে ড্রেজার মেশিন বসিয়ে অবৈধ ভাবে বালু উত্তোলন বন্ধসহ পরিবেশ রক্ষায় সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন পরিবেশবাদী সংগঠন।