দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে শেরপুরের ঝিনাইগাতী উপজেলা শ্রমিক দলের তিন নেতাকে বহিষ্কার করা হয়েছে। বহিষ্কৃতরা হলেন- জাতীয়তাবাদী শ্রমিক দলের ঝিনাইগাতী উপজেলার আহ্বায়ক কমিটির সদস্য সচিব এমদাদুল হক মোল্লা, সদস্য হোসেন আলী ছোট ও ঝিনাইগাতী সদর ইউনিয়ন শ্রমিক দলের সভাপতি ফারুক মিয়া। গতকাল রোববার শেরপুর জেলা শ্রমিকদলের সাধারণ সম্পাদক শাহ মো. আশরাফুল ইসলাম জুন বলেন, দলীয় শৃঙ্খলাপরিপন্থি কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে তিনজনকে বহিষ্কার করা হয়েছে। এর আগে শনিবার রাতে জেলা শ্রমিক দলের সভাপতি মো. শওকত আলী ও সাধারণ সম্পাদক শাহ মো. আশরাফুল ইসলাম জুন স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে তাদের বহিষ্কার করা হয়। সংগঠনের শৃঙ্খলাপরিপন্থী কাজে যুক্ত থাকার অভিযোগে এ ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে বলে শ্রমিক দল সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে। স্থানীয় নেতাকর্মীরা জানান, গত বৃহস্পতিবার রাতে সদ্য ঘোষিত জাতীয়তাবাদী শ্রমিক দলের ঝিনাইগাতী উপজেলা আহ্বায়ক কমিটি প্রত্যাখ্যান করে কমিটির সদস্য আব্দুর রহিম, কাংশা ইউনিয়ন শ্রমিক দলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আমিনুল ইসলামকে মারধর করেন সদ্য বহিষ্কার সদস্য সচিব এমদাদুল হক মোল্লার সমর্থক। এ সময় কমিটির সদস্য নুর ইসলাম মেম্বারের মোটরসাইকেল আগুনে পুড়ে দেয় তারা। পরে পুলিশ সদস্যরা ঘটনাস্থলে গেলে পরিস্থিতি শান্ত হয়। পরে আহতদের উদ্ধার করে ঝিনাইগাতী হাসপাতালে নেয়া হলে তাদের অবস্থা গুরুতর হওয়ায় উন্নত চিকিৎসার জন্য শেরপুর জেলা সদর হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। এদিকে একই ঘটনাকে কেন্দ্র করে পরের দিন গত শুক্রবার কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক আবু সাঈদকে মারধর করে এমদাদুল হক মোল্লার সমর্থকরা। পরে সদ্য বহিষ্কার সদস্য সচিবের নেতৃত্বে একটি ঝাড়ু মিছিল শহরের প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করেন। সংগঠনের শৃঙ্খলা ভঙ্গ ও দল থেকে বহিষ্কারের বিষয়ে জানতে এমদাদুল হক মোল্লার মুঠোফোনে কল করা হলেও তা বন্ধ থাকায় বক্তব্য জানা যায়নি। উপজেলা শ্রমিক দলের সদ্য ঘোষিত আহ্বায়ক কমিটির সদস্য আব্দুর রহিম জানান, এঘটনায় মামলা করা হবে।