আগাম আলু চাষে লাভের স্বপ্ন
প্রকাশ : ০৪ নভেম্বর ২০২৪, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ
আাজাহার আলী, বগুড়া
ধান ঘরে তুলে সেই জমিতে আগাম আলু চাষে নেমে পড়েছেন বগুড়ার চাষিরা। এরই মধ্যে ওই জমিতে আলুর জন্য হালচাষ, পরিচর্যা, সার প্রয়োগ, বীজ সংগ্রহ ও বপণে ব্যস্ত সময় পার করছে কৃষকরা। জেলার ১২টি উপজেলায় এখনো রোপা-আমন ধান কাটা-মাড়াই শেষ হয়নি। তবে সদ্য ফাঁকা হওয়া জমিগুলোতে এখন আগাম আলু চাষ করে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন চাষিরা।
বিভিন্ন প্রকার জৈব ও রাসায়নিক সার দিয়ে আলু চাষের জন্য জমি তৈরি করছেন কৃষকরা। আবার কেউ জমি তৈরি করে বীজ আলু জমিতে লাইন ধরে বপণ করছেন। সবজির জেলা নামে পরিচিত বগুড়া। এ জেলায় জমি কখনো ফেলে রাখে না চাষিরা। অ্যাস্টেরিক ও কার্টিনাল নামে আগাম জাতের আলু চাষ করা হচ্ছে। এ দুই জাতের আলু রোপণের ৪৫ থেকে ৫০ দিনের মাথায় বিক্রির উপযোগী হয়।
এ আলুতে পুষ্টি বেশি, লাভ বেশি। কৃষকরা প্রতি বছরই আগাম আলু চাষ করে থাকে। এবারও তার ব্যতিক্রম হয়নি। বিগত কয়েক বছর ভালো দাম পাওয়ায় এখন আলু চাষে আগ্রহ দেখাচ্ছে অনেক চাষি। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে আলুর বাম্পার ফলন হওয়ার আশা করছে তারা। গত বছরের মতো এ বছর আলুর বীজের দাম তুলনামূলক বেশি। বীজ কিনতে অনেকেই হিমশিম খাচ্ছে কৃষকরা। তথাপিও আগাম ফলনে বেশি দাম পাবে এ আশায় কৃষকরা ঝুঁকছে আলু চাষে। যেসব জমিতে মৌসুমি বিভিন্ন সবজি লাগানো হতো সেসব জমিতে আলু চাষের প্রস্তুতি চলছে। বাকি জমিগুলোর ধান কাটা শেষ হওয়ার অপেক্ষা। আলু চাষের জন্য বেলে দোআঁশ বা দোআঁশ মাটি সবচেয়ে উপযোগী। জেলার বিভিন্ন এলাকায় তুলনামূলক উঁচু জমিগুলোতে আলু চাষ শুরু হয়েছে। বগুড়া সদরের শাখারিয়া এলাকার কৃষক মতিয়ুর রহমান বলেন, বাজারে আগাম জাতের আলুর চাহিদা এবং দাম বেশি হওয়ায় আর্থিকভাবেও লাভবান হওয়া যায়। বপণের দেড় থেকে দুই মাসের মধ্যেই বাজারজাত করা যায়। এবছর তিনি ছয় বিঘা জমিতে আগাম সেভেন জাতের আলু লাগিয়েছেন। প্রতিকেজি বীজ আলু কিনেছেন ৬০ থেকে ৭০ টাকায়। গতবারের তুলনায় খরচটা বেড়েছে। ভালো ফলন হলে সারা বছরের ক্ষতি পুশিয়ে নিতে পারব। এজন্যই ধান কাটার সঙ্গে সঙ্গে আগাম আলু চাষ করি।