পাথর উত্তোলনে রেকর্ড

প্রকাশ : ০৫ নভেম্বর ২০২৪, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  দিনাজপুর প্রতিনিধি

দেশের একমাত্র পাথর খনি মধ্যপাড়া কঠিন শিলা খনিতে অক্টোবর মাসে রেকর্ড পরিমাণ পাথর উত্তোলন হয়েছে। তবে বিক্রির গতি না বাড়ালে জায়গার অভাবে উৎপাদন বন্ধ হওয়ার আশংকা। দিনাজপুরের পার্বতীপুর উপজেলায় অবস্থিত দেশের একমাত্র পাথর খনি মধ্যপাড়া খনিতে গত অক্টোবর মাসে রেকর্ড পরিমাণ ১ লাখ ৪৯ হাজার ২৫ টন পাথর উৎপাদন করা হয়েছে। যা এযাবৎকালের সর্বোচ্চ পরিমাণ উৎপাদন সেপ্টেম্বর মাসে উৎপাদনের পরিমাণ ছিল ১ লাখ ৪৮ হাজার টন। খনি পরিচালনা উৎপাদন ও উন্নয়ন কাজে নিয়োজিত ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান জার্মানিয়া-ট্রাস্ট কনসার্টিয়াম জিটিসি এর সাথে দ্বিতীয় দফা চুক্তির পর অক্টোবর মাসে রেকর্ড পরিমাণ পাথর উৎপাদন করা হলো, এরফলে খনিটি লাভজনক প্রতিষ্ঠানে পরিণত হয়েছে। সাশ্রয় হয়েছে বিপুল পরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা। কিন্তু পাথর বিক্রির গতি মন্থর ধীর হওয়ায় বিপুল পরিমাণ পাথর মজুদ হয়েছে। খনির ব্যবস্থাপনা পরিচালক ফজলুর রহমান জানান ১৫টি পয়েন্টে বর্তমানে ১০ লাখ ৫০ হাজার টন পাথর মজুদ আছে, দেশের রেলপথ, নদী শাসনসহ বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কাজে যদি খনির পাথর ব্যবহার নিশ্চিত করা যায় তাহলে খনির কাজে যেমন কর্মচঞ্চল্য ফিরে আসবে তেমনি সরকার লাখ লাখ টাকার রাজস্ব আয় করতে সক্ষম হবেন। আশংকা করা হচ্ছে, পাথর বিক্রি না বাড়লে জায়গার অভাবে পাথর উত্তোলন বন্ধ রাখলে খনি লোকসানের মুখে পড়বে। সরকার এরফলে রাজস্ব যেমন হারাবেন তেমনি করে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান জিটিসি আর্থিকভাবে ক্ষতির সম্মুখীন হবে। ২০০৭সালের ২৫ মে মাসে বাণিজ্যিকভাবে মধ্যপাড়া গ্রানাইড মাইনিং কোম্পানি লিমিটেড (এমজিএমসিএল) খনির কার্যক্রম শুরু করে, বেলারুশ কোম্পানি জিটিসি পাথর উৎপাদন ও পরিচালনার পাশাপাশি উন্নয়ন কাজে নিয়োজিত হয়, বর্তমানে ২০০ বিদেশিসহ ৯০০জন প্রকৌশলী কর্মকর্তা ও শ্রমিকেরা খনিতে কর্মরত। ২০০৭ সাল থেকে ২০১৩ পর্যন্ত কর্তৃপক্ষ লোকসানের মুখ দেখলেও ২০১৪ সালের ফেব্রুয়ারি থেকে লাভের মুখ দেখছে ২০২১ সালের সেপ্টেম্বর মাসে ৬ বছরের জন্য সরকার জিটিসির সঙ্গে চুক্তি নবায়ন করেন।