ঢাকা ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

পিরোজপুরে মৎস্য অবতরণকেন্দ্র উদ্বোধন

পিরোজপুরে মৎস্য অবতরণকেন্দ্র উদ্বোধন

শত বছর ধরে দেশের দক্ষিণাঞ্চলের মাছের চাহিদা পূরণ হওয়ার মধ্যদিয়ে পিরোজপুরের পাড়েরহাটে বিএফডিসির মৎস্য অবতরণকেন্দ্র ও বিপণন কার্যক্রমের উদ্বোধন হয়েছে। গতকাল সোমবার আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করেন প্রধান অতিথি বাংলাদেশ মৎস্য উন্নয়ন কর্পোরেশন চেয়ারম্যান (অতিরিক্ত সচিব) সুরাইয়া আখতার জাহান। মৎস্য বন্দরে সংক্ষিপ্ত এক অনুষ্ঠানে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আশরাফুল আলম খানের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন- বিএফডিসি পরিচালক (উপ সচিব) অদ্বৈত চন্দ্র দাস, যুগ্ম সচিব শাহ মোমেন, জেলার দায়িত্বরত সেনাবাহিনীর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল আরিফুল ইসলাম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আব্দুল মুকিত হাসান খান, জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আলমগীর হোসেন, পাড়েরহাট মৎস্যজীবী সমবায় সমিতির সভাপতি মহিউদ্দিন মল্লিক প্রমুখ। পিরোজপুর সদর উপজেলার শঙকরপাশা ইউনিয়নের চিথলিয়ায় ২ একর ৩৬ শতাংশ জমির ওপর ১১ কোটি ৯১ লাখ ৪৭ হাজার টাকা ব্যায়ে বাংলাদেশ মৎস্য উন্নয়ন কর্পোরেশন (বি এফ ডিসি) এই অবতরণকেন্দ্রটি নির্মাণ করেন। ২০২১ সালে স্বাস্থ্যসম্মত উপায়ে মৎস্য আহরণ, সংরক্ষণ, প্রক্রিয়াজাতকরণ ও বাজারজাতকরণের জন্য মৎস্য অবতরণ কেন্দ্র নির্মাণ শেষ হয়। এটি চালু হওয়ায় সরকারের অন্তত কোটি টাকা রাজস্ব আদায় হবে বলে মনে করছেন এই খাতের সংশ্লিষ্টরা। এখানে নির্মাণ করা হয়েছে উন্নতমানের ১০ হাজার বর্গফুটের অকশন সেড, ৫০ জন আড়ৎদারের ব্যবহার উপযোগি দ্বিতল আড়ৎঘর, আইস প্লান্ট, আবাসিক ভবন, অফিস ভবন, পন্টুন ও গ্যাংওয়ে, মাছ প্যাকেজিং করার জন্য প্যাকেজিং সেট, জেনারেটর কক্ষ, ইন্সপেকশন রুম, স্যানিটেশনের আধুনিক সুযোগ সুবিধা।

২০২৩ সালের ২৭ অক্টোবর বিগত সরকারের মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী কেন্দ্রটির আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেছিলেন। কিন্তু শুরুতেই বিএফডিসি সুফলভোগীদের মধ্যে মতদ্বৈধতা ও অবকাঠামোগত প্রতিবন্ধকতা থাকায় এর কার্যক্রম শুরু করা যায়নি।

পাড়েরহাটের এই মৎস্য অবতরণকেন্দ্রটি দেশের বিদ্যমান কেন্দ্রগুলোর অন্যতম। দক্ষিণে বঙ্গোপসাগর, সুন্দরবন সংলগ্ন উপকুলের নদ-নদীর মোহনায় আহরিত মাছ এই পাড়েরহাট অবতরনকেন্দ্রে কেনাবেচা হয়। রাজধানী ঢাকাসহ সারদেশের সহজ যোগাযোগের কারণে এই অঞ্চলের জেলে সহ মৎস্য ব্যবসায়ীরা এই অবতরণকেন্দ্রের মাধ্যমে অতিরিক্ত সুযোগ সুবিধা পাবেন। পাড়েরহাট মৎসজীবী সমাজকল্যাণ সমিতির সাধারণ সম্পাদক মোস্তফা আকন বলেন, অবতরণ কেন্দ্রটি চালু হওয়ায় মৎস্য ট্রলার মালিক, জেলে, আড়তদার, পাইকারসহ সবাই এক জায়গায় মাছ কেনাবেচার সুযোগ পাবে। পাড়েরহাট মৎস্যজীবী সমবায় সমিতির সভাপতি মহিউদ্দিন মল্লিক বলেন, পাড়েরহাট মৎস্য অবতরণ কেন্দ্র উদ্ধোধনের মধ্যদিয়ে সরকারের সময়োপযোগী ও ফলপ্রসূ পদক্ষেপের কারণে ইলিশের পুরোনো ঐতিহ্য ফিরে আসবে।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত