কক্সবাজারের টেকনাফ উপজেলার পাঁচজন ইয়াবা কারবারির বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন। তাদের বিরুদ্ধে ৪ কোটি ৫১ লাখ ৮ হাজার ৭৭৫ টাকা ‘জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ’ অর্জনের অভিযোগ আনা হয়েছে। গত রোববার দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) কক্সবাজার সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক রিয়াজ উদ্দিন বাদী হয়ে একই কার্যালয়ের উপ-পরিচালক সোবেল আহমদের দপ্তরে পৃথক এই চার মামলা করেন। দুর্নীতি দমন কমিশনের কক্সবাজার সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের উপ-পরিচালক সোবেল আহমদ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। আসামিরা হলেন- টেকনাফের নাজির পাড়ার হাজী মোহাম্মদ ইসলামের ছেলে আবদুর রহমান, তার বাবা মৃত সুলতান আহমদের ছেলে হাজী মো. ইসলাম, টেকনাফের শীলবনিয়া পাড়ার সাইফুল ইসলাম, টেকনাফের মৌলভী পাড়ার হাজী ফজল আহমদের ছেলে একরাম হোসেন ও আবদুর রহমান। মামলার এজাহার সূত্রমতে, আবদুর রহমান ও তার বাবা হাজী মো. ইসলামের বিরুদ্ধে এক কোটি ৩৪ লাখ দুই ৬৪০ টাকা, সাইফুল ইসলামের বিরুদ্ধে ৭৯ লাখ ৭০ হাজার ১১৫ টাকা, হাজী ফজল আহমদের ছেলে একরাম হোসেনের বিরুদ্ধে এক কোটি ৩০ লাখ ৬৮ হাজার ৪১০ টাকা ও হাজী ফজল আহমদের ছেলে আবদুর রহমানের বিরুদ্ধে এক কোটি ৬৬ লাখ ৭ হাজার ৬১০ টাকা ‘জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ’ অর্জনের প্রাথমিক প্রমাণ পেয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন। মামলার বাদী কক্সবাজার সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক রিয়াজ উদ্দিন জানান, মামলার ৫ আসামিকেই তাদের সম্পদের হিসাব বিবরণী জমা দেয়ার জন্য নোটিশ পাঠিয়েছিল। কিন্তু নির্ধারিত ২১ কর্মদিবসের মধ্যে সম্পদের হিসাব বিবরণী জমা না দেয়ায় এই মামলা করা হয়েছে। দুদক নিজেরাই তদন্ত করে এই আসামিদের ‘জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদে’র সন্ধান বের করেছে। মামলার বাদী দাবি করেছেন, এরা প্রত্যেকেই মাদক ব্যবসার মাধ্যমে অবৈধ উপায়ে এই সম্পদ অর্জন করেছেন। তারা এই সম্পদ অর্জন আইনগত ভাবে শাস্তিযোগ্য অপরাধ করেছেন।