চার ব্যবসায়ীকে জরিমানা

প্রকাশ : ০৬ নভেম্বর ২০২৪, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  কুষ্টিয়া প্রতিনিধি

ফ্রিজে পচা-বাসি খাবার সংরক্ষণ ও মিষ্টির পাত্রে তেলাপোকা থাকার অপরাধে কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে এক রেস্তোরাঁকে ৫ হাজার টাকা জরিমানা করেছে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের গঠিত টাস্কফোর্স। এ ছাড়াও মেয়াদ উত্তীর্ণ ওষুধ থাকায় এক ফার্মেসি মালিককে ৮ হাজার, নামের আগে ডাক্তার লেখা ও প্রেসক্রিপশন করায় এক পল্লী চিকিৎসককে ৫ হাজার এবং দোকানে মূল্য তালিকা প্রদর্শন না করা হয় এক চাল ব্যবসায়ীকে ২ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার উপজেলার পান্টি ও বাঁশগ্রাম বাজার এলাকায় এ অভিযান চালানো হয়।

অভিযানে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইনে পান্টির তোজাম হোটেল অ্যান্ড রেস্টুরেন্টের মালিক তোজাম্মেল হককে ৫ হাজার টাকা, ফারুক ফার্মেসীর মালিক মো. ফারুককে ৮ হাজার টাকা, ডক্টরস কর্ণারের পল্লী চিকিৎসক আব্দুল কাদের জাপানকে ৫ হাজার টাকা ও বাঁশগ্রাম বাজারের মেসার্স নাসির ট্রেডার্সের মালিক মো. নাসিরকে ২ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। পরে মেয়াদ উত্তীর্ণ ওষুধ ও পচা-বাসি খাবার ধ্বংস করা হয়। অভিযান পরিচালনা করেন কুষ্টিয়া জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক সুচন্দন মণ্ডল। এ সময় তাকে সহযোগীতা করেন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্যানিটারি পরিদর্শক ফারুক হোসেন, কুষ্টিয়া টাস্কফোর্সের ছাত্র প্রতিনিধি আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ প্রমুখ। এদিকে বাজারে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর ও টাস্কফোর্সের অভিযান দেখতে কয়েক শত উৎসুক জনতা ভিড় করেন। জরিমানা ও শাস্তির ভয়ে তাসিন ফার্মেসি, মদিনা চাল ভাণ্ডার, শচীন মিষ্টান্ন ও দুধি ভাণ্ডারসহ প্রায় শতাধিক অসাধু ব্যবসায়ী দোকানে তালা ঝুলিয়ে দিয়ে পালিয়ে যান। সরেজমিন পান্টি ও বাঁশগ্রাম বাজার এলাকায় গিয়ে এমন চিত্র দেখা যায়।