বগুড়ায় বাড়ির ছাদে বাগান করে সুফল পেতে শুরু করেছেন বগুড়ার গৃহবাসি। ফুল, ফল, ক্যাকটাস, এমনকি ঔষধি গাছ থেকে শুরু করে সবজির বাগান গড়ে পরিবারের চাহিদা মিটিয়ে যাচ্ছে তারা। শহরের ছাদে যেসব বাগান দেখা যায় পরিকল্পিতভাবে উদ্যোগ নেয়া হলে বাড়ির ছাদে যেকোনো গাছ, এমনকি শাকসবজিও ফলানো সম্ভব। ছাদ বাগানের মালিক জাহানুর রহমান জাকি বলেন, বগুড়া শহরের নিশিন্দারা উপশহর হাউজিং এস্টেটের নিজ বাড়ির ছাদে সৌখিনতার বসে শুরু করি। ননীফলের সঙ্গে রয়েছে জাপানে বিখ্যাত পারসিমন ফল। প্রায় ৩ শতাধিক গাছ রয়েছে ছাদবাগানে। দেশি জাতের পাশাপাশি থাইল্যান্ড, ভিয়েতনাম, জাপান, সুদান, ফিলিপাইন, চায়নাসহ বিভিন্ন দেশের ফুলফল, সবজির আবাস গড়ে তুলেছি ছাদবাগানে। ছাদবাগানের ফল ও সবজি দিয়ে এখন বাড়ির সদস্য ও অতিথিদের আপ্যায়ন করা হয়। বগুড়ার দুপচাঁচিয়া উপজেলার পুরাতন বাজার এলাকার বাসিন্দা আবদুর রাজ্জাক টিপু জানান, শখের বসে ছাদবাগান শুরু করি। এখন ছাদে নানারকমের চারায় ভর্তি। ছাদবাগান থেকে মৌসুম অনুযায়ী সবজির চাষ করে থাকি। চাষকৃত সবজি পরিবারের চাহিদা মেটাচ্ছি। সুখী ও সুন্দর জীবনের জন্য এটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ছাদ বাগানে গাছ লাগালে এর ফল, ফুল, ছায়া, শোভা ইত্যাদির কথা বিবেচনা করলে এর মধ্যে একটা আনন্দের ছোঁয়া পাওয়া যায়। সুজলা-সুফলা শস্য-শ্যামলা এদেশের মাঠে প্রান্তরে যে ফলমূল শাক-সবজী উৎপন্ন হয় তার সাথে দেশের সবার ভাগ্য জড়িত থাকে। বিষমুক্ত খাবার মানব মন ও দেহকে রোগ বালাইমুক্ত ও সুস্থ রাখে। এরই আলোকে ছাদ বাগানে উৎপাদিত বিষমুক্ত ফল-মূল খেয়ে ভালো থাকতে চাই। নিজেও বিষমুক্ত খাবার খাবো অন্যকেও উদ্বুদ্ধ করবো। অন্যদিকে ছাদ বাগানের জন্য সার, মাটি, কাটা ড্রাম, কাঠের তৈরি টবও তৈরি হচ্ছে বাণিজ্যিক ভাবে। ছাদ বাগানও হতে পারে কর্মসংস্থান সৃষ্টির নতুন একটি উদ্যোগ।