প্রতিদিন ৫০ ট্রাক কলা বিক্রি হয় মধুপুর হাটে

প্রকাশ : ০৮ নভেম্বর ২০২৪, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  এএইচএম আরিফ, কুষ্টিয়া

দেশের অন্যতম বৃহত্তম কুষ্টিয়ার মধুপুরের কলার হাট এখন জমজমাট। ভেজালমুক্ত ও স্বাদে ভালো সুস্বাধু ও পুষ্টিকর হওয়ায় দেশব্যপী এখানকার কলার প্রচুর চাহিদা থাকায় প্রতিদিই ঢাকাসহ সারাদেশে প্রায় ৫০ ট্রাক কলা সরবারহ হচ্ছে এই হাট থেকে। এতে লাভবান হচ্ছেন এ অঞ্চলের কৃষক। কষ্টার্জিত ফলের ভালো দাম পেয়ে খুশিও তারা। এদিকে প্রচুর লাভজনক এই কলা চাষে বিপ্লব ঘটাতে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন জেলা কৃষি অধিদপ্তর।

কুষ্টিয়া সদর উপজেলার কুষ্টিয়া-খুলনা মহাসড়কের পাশেই অবস্থিত মধুপুর কলার হাট। মাসের ৩০ দিনই বসে দেশের অন্যতম বৃহৎ এই কলার হাটটি। খুব সকাল থেকে এই হাটে সবরি, চাপা সবরি, সাদা সবরি, জয়েন্ট কলা, চাম্পা কলা সাগর কলাসহ বিভিন্ন নামের কলা নিয়ে আসতে থাকে কুষ্টিয়াসহ আশপাশের ঝিনাইদহ, ফরিদপুরসহ ৬ জেলার কৃষক ও ফড়িয়া ব্যবসায়ীরা। চাষিরা বলেন, এখানকার কলার চাহিদা সব সময়ই থাকে। তবে পবিত্র রমজান মাস এলে এর চাহিদা বেড়ে দিগুণ হয়। বর্তমানে প্রতিদিনই ঢাকাসহ সারাদেশে প্রায় ৫০ ট্রাক কলা সরবারহ হচ্ছে এই হাট থেকে। মাসে কয়েক কোটি টাকার বেচা-কেনা হয় এই হাটে। এতে লাভবান হচ্ছেন এ অঞ্চলের কৃষক। কষ্টার্জিত ফলের ভালো দাম পেয়ে খুশি তারা। ব্যাপারীরা বলেন প্রতিদিনই খুব সবাই ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে কলা কিনতে মধুপুর কলার হাটে আসে ব্যাপারীরা।

এখানকার কলা খুব সুস্বাধু। দেশব্যপী এর চাহিদাও রয়েছে প্রচুর। মধুপুর হাটের কলাই লাভও হয় ভালো। এ জন্যই দীর্ঘদিন ধরে এখান থেকে কলা নিয়ে দেশের বিভিন্ন জায়গায় সরবারহ করে থাকেন বলে জানান তারা। তবে এবার কলার দাম অনেক বেশি বলেও দাবি তাদের। মধুপুর কলার হাটের ইজারাদার কাজী আব্দুস সাত্তার বলেন, ‘দীর্ঘ ৪০ বছর ধরে চলে আসছে এই মধুপুর কলার হাট। বর্তমানে এই হাট থেকে বছরে ৭০ থেকে ৭৫ লাখ টাকা ইজারা পাই সরকার। এখানে আসা দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে ব্যপারী ও কৃষকের নিরাপত্তা দিতে বদ্ধ পরিকর হাট ইজারাদারদের। তবে হাটের সংস্কারে দাবি তাদের। কুষ্টিয়া খামারবাড়ী কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক সুফি মো. রফিকুজ্জামান বলেন, জেলা কৃষি অধিদপ্তরের তথ্যমতে, জেলায় মোট প্রায় সাড়ে তিন হাজার হেক্টর জমিতে এবার কলার আবাদ হয়েছে। তিনি বলেন, এখানকার কলা অত্যন্ত সুস্বাধু ও সহজলভ্য একটি রসালো ফল।

কুষ্টিয়া জেলায় উৎপাদিত কলার দেশব্যাপী ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। মধুপুর কলার হাট থেকে দেশের বিভিন্ন জেলায় প্রতিদিন প্রচুর কলা সরবারহ হওয়ায় এখানকার কৃষকরা লাভবান হচ্ছেন। রসালো এই ফলের বিস্তার ঘটাতে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে কৃষি বিভাগ বলেও জানান তিনি। কুষ্টিয়া অঞ্চলের সবরি ও চাপা কলার সুনাম রয়েছে সারাদেশে। মধুপুর কলার হাটকে ঘিরে স্বপ্ন বুনছে এই অঞ্চলের কলা চাষিরা। অন্যান্য ফসলের চেয়ে প্রচুর লাভজনক হওয়ায় দিনদিন কলা চাষে ঝুকে পড়ছে তারা।