আগাম আলুচাষ বেড়েছে
প্রকাশ : ০৮ নভেম্বর ২০২৪, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ
পারভেজ উজ্জ্বল, নীলফামারী
পুরোপুরি আমন ধান কাটা শুরু না হলেও কিছু কিছু জমিতে আমন ধান কাটার ফলে ওইসব জমিতে আগাম আলু চাষের জন্য জমি প্রস্তুতিসহ আলু রোপণে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন নীলফামারী সদরসহ কিশোরগঞ্জ জলঢাকা উপজেলার কৃষকরা। হাটবাজারে আলুর দাম বেশি থাকার কারণে আগাম আলু চাষ করে লাভবান হওয়ার জন্য গতবারের তুলনায় এবার অধিক পরিমাণে আলু চাষে ঝুঁকে পড়েছেন নীলফামারীর কৃষকরা।
চলতি আমন মৌসুমের যেসব জমিতে আগাম জাতের আমন কাটা হয়েছে ওই সকল ফাঁকা জমিতে আগাম আলুর বীজ রোপণ করছেন। নীলফামারী সদরের চোড়াইখোলা, চাপড়া সরমজানি, কুন্দু পুকুড়, খোকশাবাড়ী, গোড়গ্রাম, পঞ্চপুকুরসহ কয়েকটি ইউনিয়ন ঘুরে দেখা গেছে কৃষকরা আলু চাষে ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন। এ সময় পঞ্চপুকুর ইউনিয়নের মিলেরপাড়ের কৃষক আব্দুল খালেক জানান, যে কৃষক আগে আলু উত্তোলন করবে, সে ততই লাভবান হবে। তাই আগে ভাগেই আলু আবাদ করছি। এবার বীজের দাম একটু বেশি হলেও আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে বাম্পার ফলন হবে। যদিওবা গত বছরের তুলনায় এবার আলুর বীজে প্রতি কেজিতে ১৪ থেকে ১৫ টাকা বেশি। চাপড়া সরমজানি ইউনিয়নের বাবড়িঝাড়ের কৃষক মজিবর হোসেন জানান, তিনিও এবার ৩ বিঘায় আগাম আলু চাষের জন্য জমিন প্রস্তুতে ব্যস্ত। তিনি জানান, এবার প্রতি বিঘা জমিতে আগাম জাতের আলু রোপণে খরচ হয়েছে ৩২ থেকে ৩৫ হাজার টাকা।
প্রতি বিঘায় আলু হবে ৪৫ থেকে ৫৫ মণ। যদি বাজারে আগেভাগে আলু ছাড়তে পারলে প্রতি কেজি আলু বিক্রি হবে প্রায় ১০০ থেকে ১২০ টাকা দরে। এতে বিঘা প্রতি আলু বিক্রি করে খরচ বাদে লাভ পাওয়া যাবে প্রায় ৪৫ হতে ৫৫ হাজার টাকা। ধরঞ্জী ইউনিয়নের শ্রীমন্তপুর গ্রামের আলুচাষি মাহফুজার রহমান জানান, আগাম জাতের আলু চাষ করে ভালো দাম পাওয়া যায়। তাছাড়া ৬০-৬৫ দিনের মধ্যে এ আলু ক্ষেত থেকে তোলা যায় বলে কৃষকদের আলু চাষের আগ্রহ বেশি। সবচেয়ে আগাম আলু চাষে নীলফামারীর কিশোরগঞ্জ উপজেলা এগিয়ে থাকে। উপজেলার পানিয়াল পুকুড় এলাকার আলু চাষি মনিরুল ইসলাম জানান, গতবার ৪০ শতক জমিতে রোমানা জাতের আলু চাষ করে ভালো দাম পেয়েছেন। তাই এবারও বেশি লাভের আশায় ১০০ শতক জমিতে আগাম আলুর আবাদ করেছেন।