ঢাকা ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

পদ্মার চরে বিষক্রিয়ায় ১৪টি গরুর মৃত্যু!

পদ্মার চরে বিষক্রিয়ায় ১৪টি গরুর মৃত্যু!

পাবনার ঈশ্বরদী উপজেলার পাকশীর চররূপপুরের পদ্মার চরে এ ঘটনা ঘটে। গবাদি পশুর চারণভূমির পাশের এক কলা খেতের কলা গাছ খেয়ে এসব গরু বিষক্রিয়ায় মারা যায় বলে ভুক্তভোগীরা জানান। এ ঘটনায় আরো বেশ কয়েকটি গরু অসুস্থ অবস্থায় রয়েছে। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গত বুধবার সকালে প্রতিদিনের ন্যায় গরু গুলোকে পাকশীর চররুপপুর থেকে পদ্মার চরে ঘাস খাওয়ার জন্য নিয়ে যাওয়া হয়। ঘাস খাওয়ার এক পর্যায়ে গরু গুলো চরের একটি কলা বাগানের কিছু চারা কলা গাছ খেয়ে ফেলে। এরপর চরের মাঠ থেকে সন্ধ্যায় বাড়ি ফেরার পথে মাঠেই মরে যায় ৫টি গরু। পরবর্তীতে নদীর কিনারায় এসে মারা যায় আরো ৩টি গরু। এবং বাড়িতে এসে মারা যায় আরো ৬টি গরু। এর মধ্যে কয়েকটি গরু জবেহ করা হয়।

মারা যাওয়া গরু গুলো মালিকদের মধ্যে মফেজ্জল বিশ্বাসের আটটি গরু, সাহাবুল বিশ্বাসের দুটি, জয়নাল বিশ্বাসের একটি, বিকুল প্রামাণিকের দুটি, ইকবাল প্রামাণিকের একটিসহ মোট ১৪টি গরু মারা গেছে বলে অভিযোগে ও উপজেলা প্রাণিসম্পদ কার্যালয় সূত্রে জানা যায়। ভুক্তভোগী মফেজ্জল বিশ্বাসের ভাই এজাজ বিশ্বাস জানান, লক্ষিকুন্ডার কৈকুন্ডা গ্রামের জনৈক ড্রাগ আনিস এর জমির কলা গাছ খেয়েই মুলত: গরু গুলো অসুস্থ্য হয়ে মারা যায়। তিনি বলেন, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে হয়তো তিনি দানাদার বিষ ওই কলার গাছ গুলো প্রয়োগ করে রেখেছিলেন। তিনি আরো জানান, ঈশ্বরদী উপজেলা প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা গত বুধবার সন্ধ্যায় চিকিৎসকদের একটি টিম নিয়ে গিয়ে অসুস্থ গরু গুলোকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়েছেন। মৃতগুলোর মৃত্যুর কারণ অনুসন্ধানের জন্য রক্ত, লালা এবং মাংস ল্যাব টেস্টের জন্য নিয়ে গিয়েছেন। তারা প্রাথমিকভাবে ধারণা করছেন খাদ্যের বিষক্রিয়ার কারণে গরুগুলোর মৃত্যু হয়েছে।

তবে প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা পরামর্শ দিয়েছেন ল্যাব টেস্টের রেজাল্ট না পাওয়া পর্যন্ত ওই চরের জমিতে আর গবাদি পশু বিচরণ করিয়ে ঘাস খাওয়ানো যাবে না। উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা নাজমুল হোসাইন বলেন পাকশীর বিবিসি বাজার এলাকায় কয়েকটি গরু মারা গেছে। উপজেলা ভেটিনারি সার্জন সরেজমিনে ঘটনাস্থলে গিয়েছিলেন।

তিনি ভালো বলতে পারবেন। উনার সঙ্গে কথা বলেন। গতকাল বৃহস্পতিবার উপজেলা ভ্যাটিনারি সার্জন মোহাম্মদ ফারুক হোসেন বলেন, আমরা গিয়ে দেখি ১৪টি গরু মারা গেছে। আমাদের চিকিৎসক টিম সুস্থ থাকা ৫০টি গরুর প্রয়োজনীয় চিকিৎসা সামগ্রী নিয়ে এসেছি। আর মৃত গরুগুলোর মৃত্যুর কারণ অনুসন্ধানের জন্য রক্ত, লালা এবং মাংস ল্যাব টেস্টের জন্য নিয়ে এসেছি। আমাদের সিরাজগঞ্জ ল্যাবে এগুলো পাঠানো হবে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে খাদ্যের বিষক্রিয়ার কারণে এই গরুগুলোর মৃত্যু হয়েছে।

তবে ল্যাব টেস্টের ফলাফলের ভিত্তিতে প্রকৃত কারণ জানা যাবে। ঈশ্বরদী থানার ইন্সপেক্টর (তদন্ত) মনিরুল ইসলাম বলেন, এ বিষয়ে এখনো কোনো লিখিত অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত