কুমিল্লার একটি বেসরকারি হাসপাতালে ডাক্তারের ভুল চিকিৎসায় ইসরাত জাহান এরিন নামে এক প্রসূতির মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে। নগরীর ঝাউতলা এলাকার এইচআর হাসপাতালের চিকিৎসক ও কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের গাইনি বিভাগের ডা. মারজান সুলতানা নিঝুমের বিরুদ্ধে এ অভিযোগ ওঠে। প্রসূতি এরিন জেলার আদর্শ সদর উপজেলার আমড়াতলী ইউনিয়নের শিবপুর গ্রামের মোবারক হোসাইনের মেয়ে। গতকাল শনিবার এ ঘটনার তদন্তে কুমিল্লা সিভিল সার্জনের কার্যালয় থেকে তিন সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়েছে।
অভিযোগে জানা গেছে, ইসরাত জাহান এরিনের প্রসব বেদনা উঠলে তাকে নগরীর এইচআর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় এবং বৃহস্পতিবার রাতে ডা. মারজান সুলতানা নিঝুমের তত্ত্বাবধানে তার সিজার অপারেশন হয়। কিন্তু শুক্রবার দুপুরেও এরিনের জ্ঞান ফিরেনি। এতে তাকে নগরীর ঝাউতলা এলাকার মুন হাসপাতালে নিয়ে ডা. নাসরিন আক্তার পপির অধীনে ভর্তি করা হয়। ডা. নাসরিন আক্তার পপি জানান, ওই প্রসূতিকে অনেকটা মৃত অবস্থায় নিয়ে আসা হয়। আমি অপারেশনের স্থল রি-ওপেন করে পানিমিশ্রিত রক্ত বের করি। একপর্যায়ে রাত সোয়া ১১টার দিকে রোগীর মৃত্যু হয়। প্রসূতি এরিনের মামা হাসনাত জানান, এইচআর হাসপাতালে ভুল অপারেশনের কারণে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে এরিনের অবস্থা সঙ্কটাপন্ন হয়ে পড়ে। শুক্রবার দুপুরেও জ্ঞান ফিরে না আসায় চিকিৎসক এরিনকে পাশর্^বর্তী মুন হাসপাতালের আইসিইউতে নিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেন। এরিনের বাবা মোবারক হোসাইন বলেন, তারা আমার মেয়ের নাড়ি কেটে ফেলেছে। আমাকে মিথ্যা আশ্বাস দিয়ে সময় পার করেছে। তাদের ভুল চিকিৎসায় আমার মেয়ের মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচার দাবি করছি। এ বিষয়ে ডা. মারজান সুলতানা নিঝুমের মোবাইল ফোনে একাধিকবার চেষ্টা করে ফোন বন্ধ থাকায় তার বক্তব্য জানা যায়নি। কুমিল্লা সিভিল সার্জন ডা. নাছিমা আকতার বলেন, এ ঘটনার তদন্তের জন্য সদর হাসপাতালের গাইনি বিভাগের কনসালটেন্ট ডা. মোহসিন-আরা কলিকে প্রধান করে তিন সদস্যের কমিটি করা হয়েছে। আগামী ৭ কার্যদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য বলা হয়েছে।