চাঁদপুর জেলার বিভিন্ন স্থানের বড় বড় আড়ৎগুলোর সঙ্গে শহরের বিভিন্ন স্থানের পুরান বাজার, নতুন বাজার, বাবুর হাট, শহরের চৌধুরী ঘাট, বিপনীবাগ বাজার, বড় স্টেশন এলাকা, দোকান ঘর বাজারসহ বিভিন্ন স্থানের আড়তগুলোতে সরেজমিনে তাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, তা হচ্ছে তারা দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে বড় আকারের ট্রাকে করে শতশত কাঁচা কলার ছড়া কিনে আনেন। আড়তদাররা বলেন, তারা যদি পাকা কলা আনতে যান তা হলে তাদের সে কলা আড়তে কয়েকদিন রেখে বিক্রি করতে গিয়ে তারা তাদের চালান হারাতে হবে। শহরের কোর্ট স্টেশন, বড় স্টেশন, পালবাজার, সরকারি জেনারেল হাসপাতালের সামনে কলা বিক্রেতা, নতুনবাজার, পুরান বাজার, বাবুরহাট, মতলব, শাহাতলী বাজার ও রেল স্টেশন এলাকা, বকুলতলা, লঞ্চ ঘাট এলাকার কয়েকজন খুচরা বিক্রেতা কলা ব্যবসায়ীর সঙ্গে আলাপকালে তারা জানান, আমরা ছোট ব্যবসায়ী আমরা বিভিন্ন স্থানের কলার আড়ত থেকে কয়েক ছড়া করে কলা এনে বিক্রি করে থাকি। আড়তদাররা কলার বাগান ক্রয় করে থাকে। সেখান থেকে এক সাথে শত-শত কাঁচা কলার ছড়া কেটে আনার কারনে তারা কলা বাজারে বিক্রি করতে মেডিসিন ব্যবহার করা ছাড়া তাদের কোন উপায় থাকে না। সব কলা স্বাবিক ভাবে পাকে না। যে সব কলা বাতি (পূর্নতা পাওয়া) সেগুলো নিজ থেকে পাকে। অন্যসব কলা পূর্ণতা পাওয়ার পূর্বে কাটার ফলে সেসব কলায় মেডিসিন ব্যবহার করা হয়ে থাকে।
তবে এ ক্ষেত্রে বেশি মেডিসিন ব্যবহারের ফলে কলার ভেতর থেকে পানি ছেড়ে দেয়ায় কলা আর খাওয়ার উপযুক্ততা থাকে না। চাঁদপুরের সিভিল সার্জন ডাক্তার মোহাম্মদ শাহাদাত হোসেন বলেন, আমি যতদুর জানি কলা ব্যবসায়ীরা কলা অতিদ্রুত পাকাতে কারবাইট জাতীয় মেডিসিন ব্যবহার করে থাকে। এ কারবাইট পাকানোর জন্য ব্যবহার করলেও তা মানবদেহের জন্য মারাত্বক ক্ষতিকর। তাই খাওয়ার পূর্বে ফল, শাকসবজি ভাল ভাবে ধুয়ে নিতে হবে। জেনেও তা’খাওয়া ঠিক হবে না। তবে এ ধরনের ফল শিশুদের খাওয়ানো উচিত হবে না। চাঁদপুরের ভোক্তা অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক নূর হোসেন রুবেল জানান, ভোক্তাদের ভেজালমুক্ত নিরাপদ খাদ্য খাওয়াই আমাদের কাম্য। এর পূর্বে বাজারে একাধিক অভিযান করেছি। আবারো অভিযান পরিচালনা করবো।