অন্যের প্রেমিকাকে অনৈতিক প্রস্তাবের জেরে খুন হয়েছেন রুবেল মিয়া (৩৫)। নিহতের লাশ উদ্ধারের ৪ ঘণ্টার মাথায় ক্লুলেস এই খুনের রহস্য উদ্ঘাটন ও আসামিদের গ্রেপ্তার করেছে র্যাব-৪। নিহত রুবেল ধামরাই উপজেলার কুল্লা ইউনিয়নের ফোর্ডনগর ফকিরপাড়া গ্রামের ইদ্রিস আলীর ছেলে। গ্রেপ্তাররা হলেন- উপজেলার ধল্লা ইউনিয়নের ফোর্ডনগর গ্রামের মো. আবদুস সালামের ছেলে মা. বিজয় (১৯) ও একই গ্রামের আল আমিনের স্ত্রী শ্রাবনী আক্তার (১৮)। গত শুক্রবার রাতে র্যাব-৪ মানিকগঞ্জ সিপিসি-৩ প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এ তথ্য জানায়।
জানা গেছে, গত বুধবার রাতে একটি ফোনকল পেয়ে বাড়ি থেকে বের হয় রুবেল মিয়া।
এরপর তিনি আর বাড়িতে ফেরেননি। কোথাও না পাওয়া গেলে পরিবারের লোকজন থানায় একটি সাধারণ ডায়েরী করে। গত শুক্রবার সকালে ধল্লা ইউনিয়নের ফোর্ডনগর এলাকার ধলেশ্বরী নদী থেকে তার লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। হত্যার কারণ অনুসন্ধান করে র্যাব জানান, বিজয় এবং শ্রাবনী আক্তারের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। এলাকায় বিষয়টি জানাজানি হলে প্রতিবেশী চাচা রুবেল মিয়া বিজয়ের মুঠোফোন কৌশলে জব্দ করে। এ সময় মোবাইলে সংরক্ষিত ব্যক্তিগত ছবি তার নিজের মোবাইলে নিয়ে নেয় এবং বিজয়কে প্রেমের সম্পর্ক থেকে সরে আসতে বলে। অন্যথায় দেখে নেওয়ারও হুমকি দেয়।
এরপর থেকেই শ্রাবনী আক্তারকে ব্যক্তিগত ওইসব ছবি প্রচারের ভয় দেখিয়ে অনৈতিক সম্পর্কের প্রস্তাব দেয় রুবেল। প্রস্তাবে রারি না হলে ব্যক্তিগত ছবি সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে দেয়া হবে বলে একাধিকবার জানানো হয়। বিষয়গুলো প্রেমিক বিজয়কে জানালে ক্ষিপ্ত হয়ে রুবেলকে হত্যার পরিকল্পনা করে বিজয় ও শ্রাবণী।
পরিকল্পনার অংশ হিসেবে গত বুধবার মধ্যরাতে ফোর্ডনগর এলাকার ‘আক্তার ডেইরী ফার্ম’ সংলগ্ন ধলেশ্বরী নদীর পাড়ে আসতে বলে। রুবেল মিয়া সেখানে আসলে আগে থেকে ওৎপেতে থাকা আসামি বিজয় পেছন থেকে ইট দিয়ে মাথায় আঘাত করে।
আঘাত অবস্থায় মাটিতে লুটিয়ে পরলে কাপড় কাটার কেচি দিয়ে গলা ও মাথায় আঘাত করে হত্যা নিশ্চিত করা হয়। র্যাব-৪, সিপিসি-৩ এর কোম্পানি কমান্ডার লে. কমান্ডার মো. আরিফ হোসেন জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আসামি বিজয় এবং শ্রাবণী হত্যাকাণ্ডের সাথে সম্পৃক্ততা স্বীকার করেছে। তিনি আরো জানান, এ বিষয়ে সিংগাইর থানায় একটি হত্যা মামলা হয়েছে।