বাগেরহাটে চাঞ্চল্যকর বিএনপি নেতা সজীব তরফদার হত্যায় সরসারি অংশ নিয়েছিল চারজন। এর মধ্যে হত্যা মিশনে সরাসরি জড়িত থাকা আবু বক্কার শিকদারকে গ্রেপ্তার ও এক রাউন্ড গুলিসহ হত্যার কাজে ব্যবহৃত দুটি অস্ত্র উদ্ধার করেছে পুলিশ। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে গত শুক্রবার রাতে পিরোজপুরের কাউখালি উপজেলার হুগলি বাটকা গ্রাম থেকে বাগেরহাট থানা পুলিশ ঘাতক আবু বক্কার শিকদারকে গ্রেপ্তার করে। পরে তার স্বীকারোক্তি অনুযায়ী বাগেরহাট সদরের মির্জাপুর-সাহাপাড়া এলাকা একটি নালা থেকে হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত দুটি পাইপগান, একটি ধারালো অস্ত্রের বাট, এক রাউন্ড গুলির খোসা উদ্ধার করেছে পুলিশ। এই হত্যাকণ্ডের গডফাদারসহ বাকি জড়িতদের দ্রুত গ্রেপ্তার করা সম্ভব হবে। গত শনিবার দুপুরে পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে বাগেরহাটের পুলিশ সুপার তৌহিদুল আরিফ এসব তথ্য জানান।
পুলিশ সুপার সংবাদ সম্মেলনে আরো জানান, হত্যাকাণ্ডের মাত্র পাঁচদিনের মধ্যে একজন ঘাতক, এক রাউন্ডগুলিসহ হত্যাকাণ্ডে ব্যবহুত দুটি আগ্নেয়াস্ত্রও উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আবু বক্কার শিকদার হত্যার সঙ্গে জড়িত থাকার বিষয়টি স্বীকার করেছেন। সরাসরি কিলিং মিশনে চারজন অংশ গ্রহণ করেছিল। ৩ লাখ টাকা চুক্তিতে আবু বক্কার শিকদার ও তার সহযোগী এই কিলিং মিশনে অংশ নেয়। গত ৫ নভেম্বর দুপুরে বাগেরহাট শহর থেকে মোটরসাইকেলযোগে নিজ গ্রাম ডেমা যাওয়ার পথে বাগেরহাট-রামপাল সড়কের মির্জাপুর স্কুলের কাছে মসজিদের সামনে পৌঁছালে আগে থেকে ওৎ পেতে থাকা সন্ত্রাসীরা গুলি করে ও কুপিয়ে বিএনপি নেতা সজীব তরফদারকে হত্যা করে। এ ঘটনায় ডেমা ইউনিয়ন বিএনপি যুগ্ম আহ্বায়ক নিহত সজীবের স্ত্রী নাইমা ফারহানা বাদী হয়ে ১৩ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা আরো ৯ জনকে আসামি করে বাগেরহাট মডেল থানায় হত্যা মামলা করেন। এ ছাড়া পুলিশ বাদী হয়ে অস্ত্র আইনে একই আসামিদের নামে আরো একটি মামলা করেছে।